শনিবার , ২০ আগস্ট ২০২২ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

বাংলাদেশে গুম হয় এটা এখন সারা পৃথিবীর সামনে এসেছে’

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২০, ২০২২ ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন নির্বাচনের কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটকে সরকার দেশে আসার অনুমিত দিয়েছে। এর আগে জাতিসংঘের মানবধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিল তাদের আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সামনে সংসদ নির্বাচন তাই এবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের প্রত্যেকটা প্রোগ্রাম মনিটর করা হয়েছে, গুম হওয়া পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।

আমরা যখন আগে গুমের কথা বলেছি তখন সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু জাতিসংঘ সারা বিশ্বের তাই তারা তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিচারকাণ্ড বিষয়ে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের গুম হয় এটা এখন সারা পৃথিবীর সামনে এসেছে।

শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) আয়োজিত মানববন্ধন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি এবং হত্যা, গুম, দমন-পীড়নের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর ওবায়দুল ইসলাম মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানবাধিকার নিয়ে হাই কমিশনারের বক্তব্যে সরকারের গায়ে বিচুটি লেগেছে। হাই কমিশনার বলেছেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বাধীন কমিশনের অধিনে স্বচ্ছ তদন্ত চায়। কিন্তু সরকার তা করতে দিবেনা। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। দেশের মানুষ যখন নিজেদের স্বাধীন বলতে গর্ব বোধ করেন। তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ভারত তাদের টিকিয়ে রাখছে। এটাই প্রমান করে বর্তমান সরকার টিকে আছে ভারতের আনুকূল্যে।

শুধু তাই নয় তিনি তার বক্তব্য থেকে সরে না এসে বরং আরেকটি বক্তব্য দিয়ে সেটাকেই স্ট্যাবলিশ করেছেন। যারা অন্যদেশের আনুকূল্যে থাকে তাদের এই দেশ শাসন করার কোন অধিকার নেই।

দেশের সাধারণ মানুষ না খেয়ে আছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে আছে, অনেক মানুষ না খেয়ে আছে। যারা রাস্তায় নামতে পারে না কারো কাছে চাইতে পারে না নিজের অভাবের কথা বলতে পারে না প্রতিবাদ করতে পারেনা তারা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিং এসবের পাশাপাশি কয়েকদিন ধরে পত্রিকায় খবর আসছে জন্য কৃষকরা সারের জন্য রাস্তা অবরোধ করেছে। সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ এই সরকারের বিভিন্ন নিবর্তনমূলক সিদ্ধান্তের কারণে। জীবনধারণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

BNP3

তিনি বলেন, একদিকে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে অন্যদিকে সরকার আত্মতুষ্টির মধ্যে প্রমাণ করতে চায় বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাচ্ছে। ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে।

আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে বর্গিদের ভূমিকা পালন করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, লুটেরা এলিট শ্রেনীর সবাই ভালো আছে। এরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্ছিষ্ট ভোগী কিছু শিক্ষক বুদ্ধিজীবী। টকশোতে তাদের বক্তব্যে মনে হয় বেহেস্তে আছি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অমূলক নয়। লুটেরা সরকার, দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এটা প্রমান করছে তারাই।

‘আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় আপরাধ হলো বাংলাদেশের আত্মাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। এখন আর কোনো নির্বাচনী কথা নয়, একটাই দাবি সরকার কবে যাবে। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানসহ দলের ৩৫ লাখ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নিরপেক্ষ ইসি প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী লীগকে একদিন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। যারা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকাকে অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশকেই অস্বীকার করে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে চাটুকারদের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা আরও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

হুর পরিবেষ্টিত মন্ত্রীরা কাণ্ডজ্ঞানহীন আবোল-তাবোল কথা বলছেন মন্তব্য করে এ সময় বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির বলেন, দেশের স্বার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে বহিস্কার করা উচিত ছিল। এটি তার ব্যাত্তিগত মত হয়ে পারে না, সরকার প্রধানের বক্তব্যের প্রতিফলন। জনগনের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে অন্য দেশের সহায়তায় টিকে থাকতে চায় সরকার।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক