বৃহস্পতিবার , ৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

প্রতিবেদক
Newsdesk
অক্টোবর ৫, ২০২৩ ৫:১৮ অপরাহ্ণ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান পুতিন।

নিজের বক্তব্যের শুরুতেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গুরুতর ধাপ আজ, এ উপলক্ষ্য আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।

পুতিন বলেন, রূপপূর প্রকল্পের সাথে দুই দেশের স্বার্থ রয়েছে, যা আমাদের পরস্পরের সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে। এই প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতি ও শক্তির নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।

বাংলাদেশকে রাশিয়ার পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক সমতার, পরস্পরের জন্য জন্য সম্মানের ও পরস্পরের স্বার্থ মেনে নেওয়ার ভিত্তিতে নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশ রাশিয়ার দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু

তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিত্তি পঞ্চাশ বছর আগে স্থাপন করা হয়। সত্তুরের দশকের শুরুতে পূর্ব বাংলার মানুষকে তার স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং পরে নতুন রাষ্ট্র গোড়াপত্তনে সমর্থন প্রদান করেছে রাশিয়া।  যে দেশগুলো নবজাতক বাংলাদেশকে প্রথম দিকে স্বীকৃতি দেয় আমাদের দেশ তাদের অন্যতম।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের বড় শিল্প বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নির্মাণ করতে রাশিয়া সহায়তা করেছে। যা বাংলাদেশের জনগণকে আজও সেবা দিচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে পুতিন বলেন, আপনি আপনার পিতার কাজ সফল ভাবে সম্মানের সাথে অব্যাহত রাখছেন।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুরে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক ও সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র। ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্র দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত।

এরই মধ্যে ১ হাজার ২শ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটের ৯০ শতাংশ কাজই শেষ। আগামী বছর এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে বিদ্যুৎ।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে প্রথমবারের মতো দেশে এসে পৌঁছে নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা পারমাণবিক জ্বালানি।

পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সিংহভাগ ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটমের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন।

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নির্দেশনা মোতাবেক কাজ এগিয়ে নেওয়ায় পারমাণবিক জ্বালানি পাওয়ার সব ধাপ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

আইএইএর নির্দেশনা অনুযায়ী শর্ত পূরণ করায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটি গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে (বিএইসি) পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি ও সংরক্ষণের লাইসেন্স দেয়।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক