বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব সাগরের চেয়েও গভীর এবং হিমালয় পর্বতের চেয়েও বিশাল বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে মৈত্রী দিবস উদযাপনের জন্য আয়োজিত লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার বিজয়ী আটজন বাংলাদেশি প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বিজয়ীদের হাতে সম্মানী ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রথিতযশা শিল্পী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রসচিব তার বক্তব্যে মৈত্রী দিবস উদযাপনকে দুই দেশের সম্পর্কে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি উৎসাহী তরুণ প্রজন্মকে তাদের সৃজনশীল চিন্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
ভারতীয় হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, মৈত্রী দিবস উদযাপন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নিবিড় সম্পর্কের পরিচায়ক।
গত বছরের ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেন। ভারত বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দিন হিসেবে ঐতিহাসিক ৬ ডিসেম্বরকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দিনটিকে মৈত্রী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ৬ ডিসেম্বর বিশ্বের ১৮টি দেশসহ বাংলাদেশ ও ভারতে যৌথভাবে মৈত্রী দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ইতিমধ্যে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৈত্রী দিবস উদযাপিত হয়েছে।
লোগো ও ব্যাকড্রপ প্রত্যেক ক্যাটাগরির নকশার জন্য বিজয়ী প্রতিযোগীদের জন্য আলাদা করে মোট ১৬টি আকর্ষণীয় সম্মানী পুরস্কার রয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় আটজন বাংলাদেশি প্রতিযোগী মোট ৯টি পুরস্কার এবং সাতজন ভারতীয় প্রতিযোগী সাতটি পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন। ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে শিগগিরই ভারতীয় প্রতিযোগীদের পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।