শুক্রবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পানিবণ্টন আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হতে হবে: ড. ইউনূস

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪ ৪:২৬ অপরাহ্ণ

দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে মতপার্থক্য দূর করতে সরকার ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে, এতে কোনো দেশেরই লাভ হচ্ছে না।

ঢাকায় নিজ সরকারি বাসভবনে ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূস এ কথা বলেন। পিটিআইয়ের ওয়েবসাইটে শুক্রবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হতে হবে। বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর অধিকার সমুন্নত রাখার সুনির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি (পানিবণ্টন) নিয়ে বসে থাকার ফলে এটা কোনো কাজে আসছে না। আমি যদি জানি যে আমি কতটুকু পানি পাবো, তাহলে এটি ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ নিয়ে যদি আমি খুশি নাও হই, তাতেও সমস্যা নেই। বিষয়টির সমাধান হতেই হবে।

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে শিগগিরই চাপ দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, নতুন সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।

তিনি আরও বলেন, চাপ (পুশ) শব্দটি অনেক বড়। আমি এই কথা বলছি না। আমরা আলোচনা করবো। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

এর আগে ২০১১ সালে ঢাকায় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সময় তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে আর চুক্তি হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তার রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে।

এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, এটা নতুন কোনো বিষয় নয়, বরং খুবই পুরোনো বিষয়। আমরা বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে কথা বলেছি। পাকিস্তান শাসনামল থেকেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু। আমরা সবাই যখন ওই চুক্তি চূড়ান্ত করতে চেয়েছি, এমনকি ভারত সরকারও প্রস্তুত ছিলো; তখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এর জন্য তৈরি ছিলো না। আমাদের এটির সমাধান করতে হবে।

আমাদের আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি মেনে এ বিষয়ে সমাধান করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাটির দেশগুলোর নির্দিষ্ট কিছু অধিকার রয়েছে এবং আমরা সেই অধিকার চাই।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যার বিষয়টিও সাক্ষাৎকারে উঠে আসে। এই বন্যার জন্য ভারতকে দায়ী করে ঢাকার গণমাধ্যমের খবরের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, চুক্তি সইয়ের আগে এমন সংকট মোকাবিলায় একটা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা যেতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, যখন হাইকমিশনার (ভারতের) আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন, আমি বলেছি, বন্যার সময় পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা অধিকতর ভালো ব্যবস্থাপনার ওপর কাজ করতে পারি। দুই দেশের মধ্যে এমন সমন্বয়ের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো চুক্তির প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একসঙ্গে কাজ করতে ও এর সমাধান করতে পারি। কেননা, এটি গণমানুষের দুর্দশা লাঘব করবে। এ ধরনের মানবিক পদক্ষেপ সত্যিকার অর্থেই সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে।

এদিকে বিতর্কিত সীমান্ত হত্যার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ড. ইউনূস এর নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, কাউকে হত্যা করা কোনো সমাধান নয়। কারণ এটি মোকাবিলার আইনি উপায় রয়েছে। সীমান্ত হত্যা একতরফা ব্যাপার। আপনার দেশ দখলের জন্য কেউ সীমান্ত অতিক্রম করছে না। এটা বন্ধ করতে হবে

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত