বাংলাদেশ রেড জোনে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর এফডিসি এলাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরুর আগে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে গেলে কর্নেল অলি সরকারের সমালোচনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যাপারেও কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেড জোনে আছে। ডলারের মূল্য বেড়ে গেছে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই। দেশের ৮৫ শতাংশ জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
বিএনপির চেয়ারপারসনকে নিয়ে তিনি বলেন, বেগম জিয়া খুবই অসুস্থ। বর্তমান অবস্থায় থাকলে তিনি যেকোনো সময় মারা যেতে পারেন। এর দায় দায়িত্ব আপনাদেরকে (সরকার) নিতে হবে। আপনারা তাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে দিচ্ছেন না। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেন। এতে কোনো বড় ধরনের সমস্যা হবে না।
এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিও করেন কর্নেল অলি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীদের নামে মামলা নেই। কোর্টের মাধ্যমে আপনারা (সরকার) খারিজ করে দিয়েছেন। বিএনপির অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে। যেকোনো সময় তাদের সাজা দিয়ে আপনারা জেলে ঢুকানোর পরিকল্পনা করছেন। এটা ভালো না। এতে রেষারেষি হবে। মিথ্যা মামলায় কাউকে সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন না। পরিকল্পনা করে বিএনপির নেতাদের সাজা দেবেন এটা ঠিক না। এভাবে আপনারা এগিয়ে গেলে দেশে অশান্তি বাড়বে।
আপনাদের বিরুদ্ধে দেশের শতকরা ৮৫ ভাগ লোক অবস্থান নিয়েছে। শতকরা ৮৫ ভাগ লোকে আপনাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। অর্থনৈতিকভাবে আপনারা রেড জোনে ঢুকে গেছেন। রেড জোন থেকে বেরিয়ে আসা আপনাদের পক্ষে সম্ভব না। আমাদের দাবিদাওয়াগুলো মেনে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেন।
বিকেলে এলডিপির গণমিছিলটি শুরু হয় বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফার দাবিতে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মিছিলটি শুরু হয় এফডিসি মোড় থেকে। হাতিরঝিল, মগবাজার, মৌচাক ও মালিবাগ হয়ে ফের এফডিসি এসে মিছিলটি শেষ হয়।