যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেই কথিত উপদেষ্টা জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়া আরেফীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে তাকে থানাহাজত থেকে আদালতে নেয় পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ডিএমপির পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, আরেফীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি।
পল্টন থানা সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার মহিউদ্দিন শিকদার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে আরেফিসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার বাকি দুই আসামি হলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেন। অপরের রূপ ধারণ ও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এর আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোববার সকালে আরেফিকে আটক করে পুলিশ। পাসপোর্ট অনুযায়ী তার আসল নাম জাহিদুল ইসলাম মিয়া। তিনি বাংলাদেশি-আমেরিকান।
জানা গেছে, পাবনায় আরেফির পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। মাঝে মধ্যেই তিনি এই বাড়িতে আসতেন। তবে এখানে তার আত্মীয়স্বজন তেমন কেউ নেই। বাড়ির আশপাশের মানুষ তাকে চেনেন ‘বেলাল’ নামে।
আরেফীকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, আরেফী ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচির বিষয়ে বিশেষভাবে অবগত ছিলেন না। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী তাকে বিএনপি অফিসে নিয়ে যান। সেখানে ইশরাকও উপস্থিত ছিলেন।
পরে আরেফীকে তারা জো বাইডেনের উপদেষ্টা ও ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা বলে পরিচয় করিয়ে দিয়ে কথা বলার অনুরোধ জানান। তখন তিনি শিখিয়ে দেওয়া কথা বলেন।