বান্দরবানের রুমা-রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী রাঙামাটির বিলাইছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তার স্বার্থে ২ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সোমবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান জেলার রুমা-রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী রাঙামাটির বড়তলি বিলাইছড়ি ইউনিয়নের সাইজামপাড়াসহ আশপাশের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে জঙ্গি সম্পৃক্তার প্রমাণ পাওয়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) আস্তানাতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে একমাস ধরে। কয়েক দিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযানে।
ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বেশ কয়েক জনকে আটকও করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের ঘটনাও শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে।
যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝর্ণা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝর্ণাসহ দুই উপজেলার আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন না পর্যটকরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা ও রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে। তবে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলা বাজার স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।