‘আমার বাবার লাশের এক টুকরো মাংস চাই। যে মাংসের টুকরো ছুঁয়ে দেখতে পারি। সে মাংসের টুকরোকেই বাবা মনে করে জানাজা করাতে চাই।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেছেন চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হওয়া ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
শুক্রবার ‘এমপি আজিমকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও হত্যার পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির’ দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই কাঁদতে কাঁদতে বাবার হত্যার বিচার চেয়ে এসব কথা বলেন ডরিন।
বিকাল ৫টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।
ডরিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাবা হারানোর ব্যথা-কষ্ট বোঝেন। তিনি আমার বাবা হারানোর বেদনা বুঝবেন। তার বাবার হত্যার বিচার করেছেন, আমার বাবা হত্যার বিচারও করবেন। হত্যার পরিকল্পনাকারীকে ধরার পরই খতিয়ে দেখা যাবে আসলে সে এত বড় অপকর্ম কেন ঘটাল। এর বিচার অবশ্যই হবে।
এদিকে ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাসায় ফেরেন আনারকন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। শুক্রবার দুপুরে শহরের ভূষণ স্কুল সড়কে নিজ বাসভবনের নিচে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন খান, সহ-সভাপতি শামীম আরা মান্নান, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমসহ অন্যরা।
এ সময় তিনি তার বাবার হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেন। ডরিন বলেন, আমি ভারতের ভিসা পেয়েছি। তবে ডিবি অফিস থেকে আমাকে বলেছে, যখন প্রয়োজন হবে তখন ভারতে যেতে হবে।
এমপি আনারকন্যা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাকে ফোন দিয়েছেন। তিনি আমাকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। তিনি বলছেন আমি তোমার সঙ্গে আছি। তুমি আমাকে বলেছ তোমার বাবাকে খুঁজে দিতে, আমি ইন্ডিয়ান পুলিশকে দিয়ে তোমার বাবাকে খুঁজে দিয়েছি। আর কী চাও আমাকে বলো। এখন পুলিশ তদন্ত করবে রিপোর্ট আসলে আমি ব্যবস্থা নেব। আর কিছু করতে হলে আমাকে জানাও। আমি তখন বলেছি, না আপা আপনি যা ভালো মনে করেন করবেন। আপনি বিচক্ষণ, আপনিই এর বিচার করবেন।