বিএনপি দলীয় এমপিদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ৬টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। দেশের ৪ জেলায় এই উপনির্বাচন হচ্ছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সিসি ক্যামেরা না থাকলেও ৮৬৭টি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ চলবে।
গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলটির সাতজন সংসদ সদস্য দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদত্যাগ করেন। এর অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন শূন্য ঘোষণা করার পর সেখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বর্তমান সংসদের মেয়াদ রয়েছে এক বছরেরও কম। কিন্তু উপনির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতির নানা মেরুকরণ। আওয়ামী লীগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এবং বগুড়া-৬ আসনে দলীয় প্রার্থী দিলেও ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টিকে ঠাকুরগাঁও-৩ এবং জাসদকে (ইনু) বগুড়া-৪ আসনে ছাড় দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে প্রার্থী না দিলেও সেখানে বিএনপির পদত্যাগী এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রতিটি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনী এলাকাগুলোর বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে বিজিবি ও পুলিশ। ভোটারদের মধ্যে এই নির্বাচন নিয়ে তেমন উত্তাপ দেখা যাচ্ছে না। ফলে আশানুরূপ ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের মধ্যে। ছয় আসনে ভোটকেন্দ্র ৮৬৭টি। ভোট কক্ষ পাঁচ হাজার ৮৯৮টি। ভোটার ২২ লাখ ৫৪ হাজার ২১৭ জন। ছয়টি আসনে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে উপনির্বাচন শেষ করার প্রত্যাশা জানিয়েছে ইসি। নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদের ৬টি শূন্য আসনের উপনির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব আয়োজন শেষ করা হয়েছে। এ জন্য দেড়গুণ ইভিএম সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সবাই যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।