বিএনপি গণতন্ত্রের নামে কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা যারা বলে তাদের গণতন্ত্র ছিল হ্যাঁ/না ভোট। গণতন্ত্রকে তারা ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ভুতের মুখে রাম রাম।
শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি যে কেউ করে বসতে পারে। এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু সে বিষয়ে সরকার নির্বিকার কিনা এটাই দেখার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সব খবর আছে। প্রধানমন্ত্রী কাউকেই ছাড় দেননি। প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের অনেকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে হাওয়া ভবনের নির্দেশে চলতো সারাদেশের দুর্নীতি। তারা কি তাদের লুটপাটের আমলে কাউকে শাস্তি দিয়েছে?
তিনি আরও বলেন, আমেরিকায় তারেক রহমান নিষিদ্ধ দুর্নীতির ও লুটপাটের জন্য, তারা এখন দূর্নীতি বিরুদ্ধে কথা বলে। বিএনপি প্রতিদিনই বলে এইতো সরকারের পতন হবে। ৫ দিন ১০ দিন নানা তথ্য দেয়৷ এই সরকারের ৫ মাস হয়ে গেলো, কোথায় পতন হলো?
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দুর্নীতিবাজদের তালিকা করলে প্রথমেই আসবে তাদের নেতাদের নাম। কারণ তাদের অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতিবাজ। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, হাওয়া ভবন তৈরি করেছে, বিদ্যুতের খাম্বা লাগিয়ে বিদ্যুৎ দেয়নি। সব টাকা দুর্নীতের মাধ্যমে নিজেদের পকেটে ভরেছে।
নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের নামে কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেছে। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি তারা এক প্রহসনমূলক নির্বাচন করেছে। আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নির্বাচন করেছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা বিএনপি তামাশায় পরিণত করেছে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ভূতের মুখে রাম নাম। আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি। নির্বাচন নিয়মিত হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশে পারফেক্ট গণতন্ত্র নেই, আওয়ামী লীগও পারফেক্ট গণতন্ত্রের দাবি করে না। তবে আমরা পারফেক্ট গণতন্ত্রের পথে আছি। যারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের গণতন্ত্র ছিলো কারফিউ গণতন্ত্র, তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ভূতের মুখে রাম নাম।
মির্জা ফখরুল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে মির্জা ফখরুল মহাসচিব হয়ে আছেন। তিনি কতবছর মহাসচিব থাকবেন? তাদের গঠনতন্ত্র কি বলে?
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। বাংলাদেশও সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সম্ভাবনা আছে বলেই বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশকে সাপোর্ট করছে।