বিএনপি ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন না করায় দলটির নেতাকর্মীদেরকে ‘কাপুরুষ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি ৭ নভেম্বরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেও দিবসটি এ বছর পালন না করে স্থগিত করেছে। ৭ নভেম্বর হচ্ছে তোমাদের নাম্বার ওয়ান জাতীয় দিবস, তোমরা নাম্বার ওয়ান কাপুরুষ। তাদের জাতীয় দিবস, সেই দিবস পালন করতে এত ভয়। যাদের এত ভয় তাদের নাকি আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন করছে, বিএনপি নিজেরাই যথেষ্ট নিজেদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন ইউনিয়ন, কোন দেশ বিবৃতি দিল তাতে কিছু আসে যায় না। আমার দেশের আইনে, আমার দেশের অপরাধীকে আমি বিচার করতে পারব না, এটা কোন গণতন্ত্র? কোথা থেকে এলো এ আদেশ? আমার দেশের অপরাধী, আমার দেশের খুনি অথচ বিচার করতে পারবো না, তাকে জেলে পাঠাতে পারবো না। আদালত আছে, সে নিরাপদ হলে আদালত থেকে মুক্তি নেবে। আমাদের স্বাধীন বিচারব্যবস্থা আছে।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানিয়ে রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক টুইটে বলেন, ‘আট হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানাচ্ছি। সব ক’টি মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সহিংসতা পরিহারে সব পক্ষকে উৎসাহিত করি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
জোসেপ বোরেলের ওই বিবৃতি তথ্যের ঘাটতি রয়েছে বলে সোমবারও এক অনুষ্টানে মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
সাতই নভেম্বরের প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বিএনপি এখন কোথায়? আমি প্রশ্ন রাখতে চাই ৭ নভেম্বর কার দিন? বিএনপির কী দিবস? জাতীয় দিবস? জাতীয় দিবসের কর্মসূচিও স্থগিত করে দেয় এ দল। তাদের মতো ভীরু-কাপুরুষদের তো রাজনীতি করা শোভা পায় না।
বিএনপি নিজেরাই নিজেদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য যথেষ্ট উল্লেখ করে কাদে বলেন, এখানে আওয়ামী লীগকে লাগবে না। কর্মসূচি কোথায় তাদের? কাল রাত্রে আবাসিক প্রতিনিধি ঘোষণা দিল যে, কর্মসূচি হবে না। এটাও বলল, জিয়াউর রহমানের মাজারে যাওয়া হবে না। এ দলের কী করা উচিত? আওয়ামী লীগের এখনও ভয় দেখানোর সময় আসে নাই, সবে শুরু হয়েছে। আমারও তো শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছি। এতেই ৭ নভেম্বর বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা শহরে কয়েকটা মিছিল হচ্ছে দেখে ভয়ে নিজেদের কর্মসূচি বাতিল করে দিয়েছেন। এরা কোন দল? এরা আন্দোলন করতে পারবে? এদের আন্দোলন ভুয়া। শেখ হাসিনাকে হটাতে গেলে আপনারাই হটে যাবেন।
তিনি বলেন, ২৮ তারিখ (অক্টোবর) চলে গেল। আ-হা-রে কত স্বপ্ন, আমীর খসরু ২৮ তারিখে কর্ণফুলীতে ফেলে দেবেন, সেই ২৮ তারিখেই শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে যাওয়া টানেল উদ্বোধন করেছেন। এখন কোথায়? সব পালিয়েছে। নয়াপল্টনে দাঁড়িয়ে তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি পালাচ্ছে, শেখ হাসিনা পালাচ্ছে। শেখ হাসিনা এখন সৌদি আরবে হজ করছেন। আপনারা কে, কোথায়? কেন আজ কারাগারে? যারা কারাগারে, তারা দায় অস্বীকার করতে পারবেন না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে মারামারি বাধিয়ে, একজন পুলিশকে নির্মমভাবে হত্যা করে, পুলিশের ওপর হামলা করে মির্জা ফখরুল ভাবলেন, আরে ঘটনা তো খারাপ। তখনই মির্জা ফখরুল সাহেব লাফ দিয়ে নিচে নেমে গেলেন। এদিকে তাকান, ওদিকে তাকান; গয়েশ্বর বাবু নাই। ওদিকে তাকান, আমীর খসরু নাই। গেটের ভেতর যত নেতা, নোমান সাহেবও নাই। বেচারা দিশেহারা হয়ে দৌড় যে দিছে, ডেমরার সালাউদ্দিনের দৌড়ের চেয়েও দ্রুত।