সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে ফেনীর দাগনভূঞার আলাইয়ারপুর গ্রামে মিন্টু গার্ডেনে ঘটনাটি ঘটে। ওই প্রাইভেটকারটি আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছোটভাই দাগনভুঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আকবর হোসেনের।
এর আগে গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে মশাল মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার সময় আকবর হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, গভীর রাতে আওয়ামী লীগের লোকজন কারাবন্দি ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য দাগনভুঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেনের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ,হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ করে। আকবর হোসেনের স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়।
দাগনভুঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, রাত দেড়টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ‘মিন্টু গার্ডেন’ এর সীমানা প্রাচীরের ভেতর একটি প্রাইভেটকার আগুনে জ্বলতে দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিস এসে পৌঁছানোর আগেই প্রাইভেটকারটি পুড়ে যায়।
তবে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে কোথাও কোনো ভাঙচুর, হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি। ঘটনার সময় বাড়িতে মিন্টু পরিবারের কেউ ছিলেন না। পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থানকালে মিন্টু গার্ডেন উপস্থিত কেয়ার টেকার ও স্থানীয়রা কেউ ভাঙচুর, হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগও করেননি।
এ দিকে ফেনী জেলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রাইভেটকারের ব্যাটারি থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিসংযোগের আলামত পাওয়া যায়নি।
দাগনভুঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল কবির রতন বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা এত হীন রাজনীতি করি না। মিন্টুর পরিবার রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে প্রাইভেটকারে নিজেরাই আগুন দিয়েছেন।