বৃহস্পতিবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

বিএনপি-ভারত সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে: ফখরুল

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ

ভারতের সঙ্গে আগের শীতল সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তার ভাষ্য, ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীর জায়গা হবে না।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এই বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব জানিয়েছেন, ওই বৈঠক অনেক ইতিবাচক দিকে নিয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে গত নির্বাচনের পর থেকেই দুই পক্ষের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ছিলো। এবার আমাদের অফিসে ভারতীয় হাইকমিশনার আসায় অবশ্যই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বরফ গলতে শুরু করেছে।

ফখরুল বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সবসময়ই খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং তা উন্নত হয়েছে। অবশ্যই, এটি ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি টার্নিং পয়েন্ট। তার দল ভারতকে আশ্বস্ত করেছে যে, ক্ষমতায় এলে তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ড বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে ব্যবহার করতে দেবে না। যদিও অতীতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার ঘটনা রয়েছে।

প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব এএনআইকে বলেন, আমরা দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছি। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যা, সীমান্ত হত্যা, বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার কথা উল্লেখ করেছি। একই সময়ে, ভারতের প্রধান ইস্যু ছিলো-নিরাপত্তা সমস্যা। আমরা আশ্বস্ত করেছি, আমরা ক্ষমতায় থাকলে, আমরা নিশ্চিত করবো এই ভূখণ্ডটি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ব্যবহার করবে না। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক সব সময়ই খুব ভালো ছিলো। কিন্তু বিএনপি ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিলো।

Mirza Fakrul

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি মনে করি বরফ গলতে শুরু করেছে। আশা করি এই সম্পর্ক আরো ভালো হবে। এইবার তারা (ভারত) আমাদের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবে, বিশেষ করে ভারতকে এই দেশের মানুষের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করা উচিত। সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখা উচিত নয়। জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত।

এএনআই বলছে, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত ও অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি আরও হবে বলে বিশ্বাস করে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটি। এটি হতে পারে, বাংলাদেশে গণহত্যায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরতের মাধ্যমে।

এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি এখনো জানি না, সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে কি না। তবে আমি মনে করি, তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসা উচিত ও তার জবাবদিহি করা উচিত।

Fakrul

সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে- এমন ভুল ধারণা নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি না, কোনো গুরুতর সমস্যা চলছে। প্রতিটি পরিবর্তনের পর কিছু সমস্যা থাকে যা পুরোটাই রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক নয়। তবুও আমরা আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য খুবই সজাগ। বিশেষ করে পূজার আগে আমরা এরইমধ্যে সারা দেশে আমাদের ইউনিটগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি।

ফখরুল বলেন, তার দল বিশ্বাস করে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী এই ব্যবস্থা থেকে খুব শিগগিরই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ফেরত যাবে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক