বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জামিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে মুক্ত হয়েছেন।
দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস কারাবন্দির পর বিকালে মুক্তি পেয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথমে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং ৪ মিনিট পর স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী মুক্তি পান। এ সময় কারাগারের প্রধান ফটকে নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে দুজনকে বরণ করেন। কর্মীরা নেতাদের ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভাইয়ের ভয় নাই, আমরা আছি তোমার সঙ্গে’, ‘আমির খসরু ভাই এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সঙ্গে’, মহাসচিবের মুক্তি আন্দোলনের শক্তি, খসরু ভাইয়ের মুক্তি আন্দোলনের শক্তি’, ‘জিয়া, খালেদা, তারেক জিন্দাবাদ জিন্দবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিকাল পৌনে চারটার দিকে মহাসচিব ফখরুল ও আমির খসরু কারাগারের মূল ফটক থেকে বেরিয়ে যান। তারা দুজনই কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হলেন।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতা হলে ২৯ অক্টোবর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত ২ নভেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকেও গুলশানের বাসা গ্রেপ্তার করা হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় বিএনপির এই দুই নেতাকে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে গত ২৮ অক্টোবর এবং এর পরের সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ১১টি মামলা হয়। এর আগে ১০টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তার জামিন গতকাল মঞ্জুর করেন আদালত।