রাশিয়ার গ্যাসের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় বিপদে পড়ে গেছে জার্মানি। বছরে ৫৪০ কোটি ডলারের (৫০০ কোটি ইউরো) ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশটি।
শিল্প প্রতিনিধিদের বরাত দিয়ে সাপ্তাহিক সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট এম সোনট্যাগের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হুমকি উপেক্ষা করেই ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। সোমবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসনের হাত থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় সহায়তা করতে দেশটিকে বহুমাত্রিক রকেট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা উপহার দেবে লন্ডন।
এ বিষয়ে তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রক্ষা করবে। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এম২৭০ লাঞ্চার ইউক্রেন বাহিনীর সক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি করবে।
এগুলো সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ব্রিটেনের এ ঘোষণার আগের দিনই রাশিয়া ওয়ান টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।
বলেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিলে দেশটিতে দূরপাল্লার হামলা চলাবে রাশিয়াও। হামলা চালাবে ইউক্রেনের নতুন টার্গেটে।
ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে প্রথম সম্মতি জানায় যুক্তরাষ্ট্র (১ জুন)। এর ঠিক ৫ দিন পরই একই ঘোষণা দিল মার্কিন দোসর ব্রিটেন।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ৩টি এম২৭০ রকেট ব্যবস্থা পাঠানো হবে কিয়েভে। আগামী কয়েক সপ্তাহ যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের এ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আকাশসীমা বন্ধ, ল্যাভরভের সার্বিয়া সফর বাতিল : সার্বিয়ার আশপাশের দেশগুলো আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
রোববার রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে ওই কর্মকর্তা এ কথা জানান। সার্বিয়ার গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সোমবার বিমানে করে রাজধানী বেলগ্রেডে যাওয়ার কথা ছিল ল্যাভরভের। কিন্তু বুলগেরিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া ও মন্টিনিগ্রো তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।
নতুন কৌশলে হেলিকপ্টারে হামলা : হামলায় নতুন এক কৌশল অবলম্বন করছেন রুশ পাইলটরা। রোববার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে-হেলিকপ্টারের সামনের অংশ কিছুটা উপরের দিকে তুলে ধরা হচ্ছে।
তার পর ছোড়া হচ্ছে রকেট। সামনের অংশ উঁচিয়ে হামলা চালানোয় রকেটগুলো আকাশের দিকে ছুটে যাচ্ছে। এর ফলে সেগুলো তুলনামূলক বেশি দূরে গিয়ে পড়ছে। একইভাবে কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়।