জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে দেওয়া চিঠির বিষয়টি জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি।
বর্তমান সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে সরিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে এ পদে বসানোর প্রস্তাবটি গত দুই মাসেও সুরাহা না হওয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার অধিবেশনে এ নিয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। একইসঙ্গে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ পদ থেকে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টিও সংসদে তুলবে দলটি।
গত ৩ সেপ্টেম্বর বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের স্থলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নাম স্পিকারের কাছে প্রস্তাব করে জাতীয় পার্টি। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি স্পিকার।
রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। আজকে যেহেতু সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে, তাই এটি আজকের পরে চিন্তা করব। আগামীকাল (সোমবার) জাতীয় সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করব। কী কারণে এখনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি, তা জাতীয় পার্টি জানতে চাইবে বলেও জানান মুজিবুল হক চুন্নু।
জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের ২৬ সদস্যের মধ্যে বৈঠকে ২১ জন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, তার ছেলে রাহ্গির আলমাহি এরশাদ, মসিউর রহমান রাঙ্গা, সেলিম ওসমান এবং রানা মোহাম্মদ আদেল বৈঠকে ছিলেন না।
রওশন এরশাদ এবং সেলিম ওসমান ব্যাংককে চিকিৎসাধীন। রাহ্গির আলমাহি এরশাদ আছেন ব্যাংককে অসুস্থ মায়ের পাশে। আদেল ঢাকার বাইরে রয়েছেন। জাতীয় পার্টির বৈঠকে না থাকলেও সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মসিউর রহমান রাঙ্গা।