নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সুপার এইটের পথে টাইগাররা। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ইতোমধ্যেই ছিটকে গেছে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে সুপার এইটে কোয়ালিফাই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তলানিতে থাকা নেপাল কাগজে-কলমে টিকে থাকলেও শক্তিমত্তা বিবেচনায় তাদের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। তাই সুপার এইটের লড়াইয়ে বাংলাদেশের পথে কাঁটা হয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস। এবার মুখোমুখি লড়াইয়ে ডাচদের ২৫ রানে হারিয়ে সমীকরণ সহজ করলো টাইগাররা।
ফলে ৩ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটে এক পা দিয়ে রাখলো বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর্নোস ভ্যালে গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ড। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পরে বাংলাদেশ।
তবে সাকিব আল হাসানের ফিফটি ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে ভর করে লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। সাকিব আল হাসান ৪৬ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া তানজিদ তামিম ২৬ বলে ৩৫ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ২১ বলে ২৫ রান।
১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করে নেদারল্যান্ড। দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ডাচ ওপেনার মাইকেল লেভিট, ম্যাক্স ও’দাউদ। উদ্বোধনী জুটিতে ২২ রান যোগ করেন তারা।
২২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ডাচদের টেনে তোলেন বিক্রমজিত সিং। এই টপ অর্ডার ব্যাটার উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। তবে তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দশম ওভারের তৃতীয় বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়েছেন তিনি। তার আগে বিক্রমের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ২৬ রান।
এরপর সাইব্রান্ড অ্যাঙ্গেলব্রাখটকে সঙ্গে নিয়ে ডাচদের ম্যাচে ফেরান স্কট এডওয়ার্ডস। ২২ বলে ৩৩ রান করে অ্যাঙ্গেলব্রাখট ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। ইনিংসের ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে রিশাদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দেন তিনি। এক বল পর বাস ডি লিডিকেও ফেরান রিশাদ। তাতে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নেয় বাংলাদেশ।
ডাচদের আশার আলো হয়ে উইকেটে ছিলেন শুধুই এডওয়ার্ডস। ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই অধিনায়ককে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ডাচরা। মুস্তাফিজ-রিশাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা।
বাংলাদেশের হয়ে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার রিশাদ। তাছাড়া তাসকিন ২টি এবং মুস্তাফিজ, তানজিম সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট শিকার করেছেন।