বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের অপব্যবহারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে স্পাইওয়্যারের বিরুদ্ধে এই কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেন ব্লিঙ্কেন। সামরিক গ্রেডের স্পাইওয়্যারের বিস্তার রোধে এই প্রথম এত বড় পদক্ষেপ নিলো বাইডেন প্রশাসন।
ধারণা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপের ফলে ভারত ও ইসরাইলের মতো মার্কিন মিত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব দেশ স্পাইওয়্যারের অব্যবহার করে নাগরিকদের নির্বিচারে আটক, জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনায় জড়িত- সেসব দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতি আরও বলা হয়, বিশেষ করে, যারা স্পাইওয়্যার প্রযুক্তি ব্যবহার করে দমনপীড়ন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ সীমিত, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশসহ ভিন্ন মতের মানুষদের হুমকির মুখে ফেলছে, তারও নিষেধাজ্ঞা আওতায় থাকবে।
বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেন, যারা বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের অপব্যবহার করে সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী ও অন্যান্যদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে নির্বিচারে আটক, হয়রানি ও বেআইনিভাবে নজরদারি করছে, দমন বা ভয় দেখানোর মতো ঘটনায় জড়িত, সেসব ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের নিকটবর্তী সদস্যরা এই ভিসানীতির আওতায় পড়বে ও তাদের ওপরে তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে।
স্পাইওয়্যার হলো একধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা একটি ডিভাইসের যাবতীয় ডেটা সংগ্রহ করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা প্রোগ্রাম। স্পাইওয়্যারের সাহায্যে একজন হ্যাকার অন্য আরেকটি ডিভাইসের সাহায্যে আক্রান্ত ডিভাইসের যাবতীয় ই-মেইল অ্যাক্টিভিটি, পাসওয়ার্ড, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, পার্চেজ হিস্ট্রি, ক্রেডিট কার্ডের তথ্যসহ ব্যক্তিগত এবং গোপন তথ্য চুরি করতে পারে।