বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনে প্রায় অর্ধশত মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় দেশের শীর্ষস্থানীয় আবাসন ব্যবসায়ী আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের এক ব্যবস্থাপককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার অভিযান চালিয়ে মুন্সী হামিমুল হক বিপুল নামের ওই ব্যবস্থাপককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে রমনা থানা পুলিশ। বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের ঘটনায় এ নিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
দগ্ধ আরো ১২ জনের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ভর্তি আছেন।
আগুনের ঘটনায় শুক্রবার গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন।
আগুনের ঘটনায় শুক্রবারই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন ওই ভবনে ‘চুমুক রেস্তোরাঁ’ দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান।
গ্রিন কোজি কটেজ নামের ওই ভবনে নিচতলার চায়ের দোকান ‘চুমুক রেস্তোরাঁ থেকেই ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে ভবনের আগুনে প্রায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনায় রমনা থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে এ মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী।