প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের এমডি পদের জন্য তদবিরের জন্য হিলারি ক্লিনটন ফোন করেছিলেন। ২০ মিনিট ধরে ফোন ছাড়ে না। একবার নয় দুইবার। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি এলো। অনেকেই এলো। আমি শুধু জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে একটা কথা বলেন, এই এমডি পদে কী মধু আছে?
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্ম সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর অনেকেই এগিয়ে এলো। বিশ্বব্যাংক, জাইকা, দাতা সংস্থা এলো। তখন একটা সমস্যা দেখা দিল। একটা পদ, সেটা হচ্ছে ব্যাংকের এমডি পদ। একটা ব্যাংকে যদি আইন থাকে যে একজন ২০ বছর পর্যন্ত থাকতে পারবেন। ইতোমধ্যে তার বয়স ৭০ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত সময় থেকে ফেলেছে। তাহলে তিনি সেখানে এমডি থাকে কি করে? এত নামীদামী, একেবারে নোবেল লরিয়েট সামান্য একটা ব্যাংকের এমডি পদের জন্য লালায়িত কেন?
এই প্রশ্নের উত্তর কখনো পেলাম না। একটা বড় দেশ থাকে প্রমোট করে। সেই দেশের অ্যাম্বাসেডর আমার অফিসে আছে। আমার অফিসের কর্মকর্তাকে ধমক দিয়ে বলে, এমডি পদ না থাকলে সেতুর অর্থ বন্ধ হয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) সরকারের বিরুদ্ধে, অর্থমন্ত্রী বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা করলেন। সে মামলায় তিনি হেরে গেলেন, আরও ক্ষেপে গেলেন। আর অ্যাম্বাসেডরদের আনাগোনা তো চলছে। বারবার একই কথা শোনায়। এরপর একজন আন্ডার সেক্রেটারি এলেন। তিনি এসে এমন কিছু কথা বললেন আমি সেদিনই তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। আমি বলে দিলাম যে, আমেরিকা থেকে আর কেউ এলে আমি দেখা করবো না। আমি আর দেখা করিনি।