কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হলে গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ব্রাজিলকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো উরুগুয়ে।
রোববার সকালে লাস ভেগাসের অ্যালিজেন্ট স্টেডিয়াম পেনাল্টিতে উরুগুয়ের হয়ে প্রথম শট নেন ভালবার্দে। তাতেই বল জালে জড়ান তিনি। আর ব্রাজিলের হয়ে প্রথম শট নেন মিলিতাও। প্রথম শটই জালে জড়াতে পারেননি তিনি। দুর্দান্ত দক্ষতায় বল ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক রোচেত।
পরে ব্রাজিলের হয়ে ডগলাস লুইস ও উরুগুয়ের হয়ে গিমিনেজ মিস করলে জমে ওঠে লড়াই। তবে, শেষমেশ মারতিনেল্লির গোলে জয় নিশ্চিত হয় উরুগুয়ের।
এর আগে, ম্যাচের ৯০ মিনিটের পুরোটা সময় দুই দলই লড়াই করেছে সমান তালে। কার্ড জটিলতায় মাঠের বাইরে ছিলেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী তরুণ স্ট্রাইকার এন্ড্রিক ফেলিপ। বড় ম্যাচে তার ভূমিকা দেখার অপেক্ষায় ছিল ব্রাজিলভক্তরা, তবে মাঠের খেলায় তিনি সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি তিনি।
ব্রাজিলও বড় সুযোগ মিস করে ২৮ মিনিটে। এন্ড্রিকের বাড়ানো বল ডি বক্সের ভেতর পেতে পারতেন রাফিনহা। কিন্তু এই সেলেসাও উইঙ্গার বলের কাছেই পৌঁছাতে পারেননি। উরুগুয়ে বিপদমুক্ত হয়ে একটু পরই পাল্টা আক্রমণে যায়। কিন্তু নুনেজের হেড চলে যায় গোলপোস্টের ওপর দিয়ে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দলই। ৪৭ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়ে। ফেডরিকো ভালবার্দের দূরপাল্লার শট সহজেই প্রতিহত করেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার।
এরপর ৫২ মিনিটে দুর্দান্ত এক আক্রমণ করে উরুগুয়ে। ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ে শট করেন ডারউইন নুনেজ। তবে, দানিলোর গায়ে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫৬ মিনিটে আরাউহো ডি-বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে শট করলেও তা লক্ষ্যে ছিল না।
৬২ মিনিটে ভালবার্দের দূরপাল্লার আরেকটি শট বারের ওপর দিয়ে চলে গেলে হতাশ হতে হয় উরুগুয়ের সমর্থকদের।
ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে রদ্রিগোকে ফাউল করায় প্রথমে হলুদ কার্ড ও পরবর্তীতে ভিআরের সাহায্য নিয়ে লাল কার্ড খেয়ে মাঠ ছাড়েন উরুগুয়ের নাহিতান নান্দেজ।
যার ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় উরুগুয়ে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একের পর এক আক্রমণ করে ব্রাজিল। ৮৪তম মিনিটে এন্ড্রিকের গড়ানো শট সহজেই তালুবন্দী করেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক সার্জিও রোচেত।
৮৬তম মিনিটে ফ্রি-কিকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায় ভালবার্দে। তবে, বারের ওপর দিয়ে মেরে দেন তিনি। ফলে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোল করতে পারেনি কোনও দলই। ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে উঠে গেল উরুগুয়ে।