সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে একটি অডিও রেকর্ড। যেখানে কথা বলতে শোনা যায় গানবাংলার কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নী ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে।
পুরো অডিওকলেই বুবলীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ শোনা যায় ফারজানা মুন্নীর কণ্ঠে।
যেখানে তিনি দাবি করেন, বুবলী তার সংসার ভাঙার চেষ্টা করছেন। তাপসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
প্রায় ১৪ মিনিটের সেই অডিও ক্লিপে আরও বিস্ফোরক কিছু তথ্য সামনে আনেন ফারজানা মুন্নী।
অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শাকিবের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতেই তাপসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন বুবলী।
তাপস-বুবলীর এই সম্পর্ক নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, তখন ভারতে ‘দরদ’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন শাকিব খান। সম্প্রতি ওই সিনেমার শুটিং শেষে দেশে ফেরার পর একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে তাপস-বুবলীর সম্পর্ক ও ফারজানা মুন্নির সেই ফোনালাপ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। যেখানে শাকিব খান জানিয়েছেন, এ বিষয় নিয়ে কথা বলতেও লজ্জিতবোধ করবেন তিনি।
শাকিব বলেন, কথাগুলো বলতে চাই না। কারণ এসব নিয়ে বললে আমি নিজের কাছেও লজ্জিতবোধ করব, অপমানিতবোধ করব। মুন্নী ভাবির অডিও আমি শুনেছি এবং আমাকেও যা বলেছেন, এটা আমি আশা করিনি। কারণ মুন্নী ভাবিকে আমি যতটা স্ট্রং পারসোনালিটির মানুষ হিসেবে দেখেছি, তার মতো মানুষকে এত অসহায়ভাবে দেখব সেটা আশা করিনি।
এর পর শাকিব বলেন, এমন একটা মানুষকে নিয়ে কথা, যার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। আসলে মিডিয়াতে কখন কার রূপ যে বদলে যায়, বলা যায় না। যাই হোক, এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না। এ ব্যাপারে জড়াতেও চাই না।’
নিজের জীবনে বর্তমানে বুবলীর কোনো অস্তিত্ব নেই জানিয়ে এই নায়ক বলেন, ‘আমার জীবনে যে মানুষের কোনো অস্তিত্ব নেই, তাকে (বুবলী) নিয়ে আমি কথা বলতেই চাই না। যার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই, তাকে নিয়ে অনধিকার চর্চা কেন করতে যাব! আমার তো কোনো দরকার নেই। অনেকে হয়তো মনে করছে, আমার সঙ্গে তার (বুবলী) কিছু একটা সম্পর্ক আছে। শাকিবকে বললে হয়তো এর কোনো সমাধান হবে। সেই আশা নিয়েই বলছে। কিন্তু আমি বলে দিচ্ছি— আমার জীবনে এই ভদ্রমহিলার কোনো অস্তিত্ব নেই। তার ব্যাপারে আমাকে বলেও কোনো লাভ নেই।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ জুলাই বুবলীকে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান। এর পর ২০২০ সালের ২১ মার্চ জন্ম হয় তাদের সন্তান শেহজাদ খান বীরের।