নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নামে নতুন রাজনৈতিক দল। তবে অভিযোগ উঠেছে, উচ্চ আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে দলটি।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে বিডিপি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি মো. কাজী নিজামুল হক স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। আবেদনের সঙ্গে ইসির শর্ত সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংযুক্তি আকারে দেওয়া হয়েছে।
তবে জামায়াত নেতাদের সমন্বয়ে বিডিপি গঠনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে যাওয়া দলটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম।
নিবন্ধনের জন্য আবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, আশা করি আমরা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হবো এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত হবো। আমি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান দলের সভাপতি। আমার দলের জেনারেল সেক্রেটারি মো. কাজী নিজামুল হক। আমাদের দলের নাম বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)। আমাদের সঙ্গে নতুন প্রজন্ম আছে। আমরা ইনশাআল্লাহ আরেকটু অর্গানাইজড (সংগঠিত) হয়ে আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করবো।
এই নেতা বলেন, আমাদের দলের সবাই তরুণ প্রজন্মের। এখানে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই। জামায়াতের সঙ্গেও আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এখন কিছু বলতে চাই না। পরে ডিটেইল বলবো। আমাদের বিষয়টি আমরা পরিষ্কার করবো।
তিনি বলেন, আমরা একটি নতুন দল, নতুন প্রজন্ম। বিভিন্নভাবে তাদের সংগ্রহ করেছি। তাদের নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এখানে অন্য কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি বা সহযোগিতা আমরা ফিল করি না। এখন যদি কেউ কিছু বলে সে বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। এসময় সাংবাদিকদের জেরার একপর্যায়ে তিনি জানান, জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের সংবিধান মেনে আমরা রাজনীতিতে এসেছি। সংবিধানের প্রতিটি শব্দকে আমরা সম্মান করি এবং সেটা লালন করেই আমরা রাজনীতি করি। মুক্তিযুদ্ধের পরের প্রজন্ম বিভিন্ন জায়গায় যারা উদ্যোক্তা আছেন, তাদের নিয়েই দল গঠন করা হয়েছে।
এসময় সাংবাদিকরা বারবার জানতে চাইলেও দলটির প্রতিষ্ঠা কবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর অনেকেই আপনাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না না। আমরা বিষয়গুলো আপনাদের বিস্তারিত কথা বলবো। যা আছে আমরা পরিষ্কার করবো। আজকে এ বিষয়ে আমরা কোনো কথা বলবো না।
অপর এক প্রশ্নের তিনি বলেন, আমরা নিবন্ধনের জন্য এসেছি, নিবন্ধনের যতগুলো রিকোয়ারমেন্ট আছে সবগুলো ফুলফিল করে এসেছি। আশা করি এখান থেকে নিবন্ধন পাবো।
এর আগে সকালে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর জানিয়েছেন, শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে জামায়াত ইসির নিবন্ধন পেতে পারে। তিনি বলেন, ‘জামায়াতের কেউ যদি যুদ্ধাপরাধী না হয় এবং তাদের গঠনতন্ত্র যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়, তাহলে শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে তাদের নিবন্ধন পেতে কোনো বাধা নেই।’