বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে গত সোমবার ভোটকেন্দ্র থেকে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের প্রার্থী সুইটি মল্লিকের স্বামীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ অপহৃত স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলী আব্দুল হালিম মল্লিককে উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে আটক করে।
আটকরা হলেন- জেলার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস জামান মুকুল (৪৩), যুবলীগের কর্মী মো. আল আমিন (৩৪), আব্দুস সাত্তার (৩০), এনামুল হক (৩০), সাজু মিয়া (৩২) ও মো. সবুজ (২৮)।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার শেরপুর থানায় আব্দুল হালিম বাদী হয়ে আটকদের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাঁর স্ত্রী সুইটি জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন। সোমবার ভোট চলাকালে প্রাইভেটকারে শেরপুর শহিদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে শহরের ধুনট মোড় এলাকায় পৌঁছে কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় যুবলীগ নেতা মুকুলের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে চাঁদা চায়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা জোর করে তুলে নিয়ে আটকে রাখে।
অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রেপ্তার মুকুল বলেন, হালিম মল্লিকের কাছে আমাদের ব্যবসায়িক টাকা পাওনা রয়েছে। টাকা না দিয়ে তিনি গাঢাকা দেন। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে দেখতে পেয়ে তাঁকে অন্যত্র ডেকে নিয়ে যাই। জোর করে তুলে নেওয়ার তথ্য সত্য নয়।
শেরপুর থানার এসআই শাহাদত হোসেন জানান, খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে শেরপুর শহরের উলিপুর এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে হালিম মল্লিককে উদ্ধার ও ছয়জনকে আটক করা হয়।
শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, অপহরণ ও চাঁদা দাবির মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে