আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে যেনো নির্বাচন না হয় সেই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে তা প্রমাণ করতে তিনি দেশবাসীকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান হানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে যেনো নির্বাচন না হয় সেই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে তা প্রমাণ করতে তিনি দেশবাসীকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান হানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নির্বাচনি সমাবেশে
এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। এই সমাবেশের মাধ্যমে শেখ হাসিনা নির্বাচনি জনসভা শেষ হলো।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না। ভয় পায়। সেজন্য সন্ত্রাস করে। তিন হাজারের ওপর মানুষ পুড়িয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও মানুষ খুন বিএনপি একমাত্র গুণ। মানুষকে কিছু দিতে পারে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন যেনো না হয় সেই চক্রান্ত এখনও করছে। নিজেরা যেহেতু জিততে পারবে না সেজন্য এখনও একই কাজ করতে চায়। ৭ তারিখ নির্বাচন। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ভোটের অধিকার আপনাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার মিলিটারি ডিক্টেটররা কেড়ে নিয়েছিলো। আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি। সাংবিধানিক অধিকার সংরক্ষণ করেছি। ৭ জানুয়ারি সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। প্রমাণ করবেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। আর আছে বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে। যত ষড়যন্ত্রই হোক। কারও মুখাপেক্ষী বাংলাদেশ হবে না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিধ্বস্ত দেশ গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তক ঘটনার কথা তুলেও ধরেন জাতির পিতার কন্যা।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু সব খাতের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বিএনপির সময় কমিয়ে ফেলে। মানুষ সামনের দিকে যায় আর বিএনপি পিছনের দিকে টানে। দুর্নীতি, মানুষ খুন, দুঃশাসন, জঙ্গিবাদের কারণে জরুরি অবস্থা জারি হয়। ২০০৯ এ ক্ষমতায় এসে সঙ্কট কাটিয়ে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি। যা কেউ করতে পারেনি। বিএনপির আমলে ২৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেতো। আমরা কথা দিয়েছিলাম, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব। আমরা কথা রেখেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে অনেক খরচ হয়। আপনাদের কাছে অনুরোধ, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবেন। মিতব্যয়ী হবেন।
সারা বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সরকারের পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।