বৃহস্পতিবার , ২২ জুন ২০২৩ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

মানুষকে বোকা বানাতেই সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গ: ফখরুল

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুন ২২, ২০২৩ ৪:৩৫ অপরাহ্ণ

মানুষকে বোকা বানাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেন্টমার্টিন নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হতে চাচ্ছেন যারা, তাদেরকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষকে বোকা বানাতেই সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণ চাচ্ছে এই মুহূর্তে সরকারের পদত্যাগ।’

তিনি বলেন, ‘দেশের ক্ষতি করতেও দ্বিধা করছে না সরকার। সরকারের বক্তব্যে ভূরাজনৈতিক ক্ষতি করা হচ্ছে।’

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি এবার কি সেন্টমার্টিন বিক্রি করবে? তিনি বলেন, বিএনপি ২০০১ সালে অন্য দেশের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তারা এবার দেশ, নাকি সেন্টমার্টিন বিক্রি করবে?

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার কি নিশ্চিত হয়ে গেছে যে ক্ষমতায় থাকছে না, তা না হলে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন কেন? মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দিচ্ছে। সেন্টমার্টিন লিজ দেয়ার কথা বলে বাইরের দেশের সাথে সম্পর্কের অবনতি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটি কাউকে দেবে না। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে রক্ষা করা হবে। সেন্টমার্টিন লিজ দিয়ে ক্ষমতায় থাকার বক্তব্য সরকারের পলিটিক্যাল স্ট্যান্ট। এসব বক্তব্য দিয়ে সুবিধা পেতে চায়।

সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে যারা বিএনপির প্রার্থী হবে তাদের গোয়েন্দা বাহিনী তুলে নিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনে অংশ নেয়ার চাপ দেয়া হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধীদল শূন্য নির্বাচনী মাঠ করার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করেছে। গ্রেপ্তার, মামলা, সাজা দেয়া তার অংশ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন বাংলাদেশের মানবাধিকার, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, তখন জনগণের সাথে প্রতারণা করতে মিথ্যাচার শুরু করেছে সরকার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার সব রকম কৌশল নিয়েছে।

ফখরুল দাবি করেন, ঢাকা মহানগর আন্দোলনের মূল সূতিকাগার। তা দমাতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মামলা গ্রেপ্তার শুরু করেছে, দুর্বল করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। দমন নীতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিএনপি’র গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অত্যন্ত পরিকল্পিত চক্রান্ত শুরু হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবি তুলে তিনি বলেন, জয়ী হতে পারবে না জেনেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছে না সরকার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে, ত্রয়োদশ সংশোধনীতেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়টা সুরাহা হয়েছে।

‘এখনও সময় আছে জনগণের ভাষা বুঝে জনগণের চাহিদা বুঝে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নয়তো দেশের মানুষ জানে কিভাবে দাবি আদায় করে নিতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, দয়া করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা অন্যায় বেআইনি নির্দেশে গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করবেন না। এটা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক