মেসির অবিশ্বাস্য মিস, এমি মার্তিনেজের অতিমানবীয় সেভ। ইকুয়েডরকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। লিসান্দ্র মার্তিনেজের গোলে লিড নিলেও শেষ মুহূর্তে রদ্রিগেজের গোলে সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।
আমেরিকান ফুটবল কোচ ভিনস লম্বার্দি বলেছিলেন, ফুটবল ইজ নট জাস্ট আ গেইম ইটস ওয়ে অব লাইফ। এই যে লিওনেল মেসি যার পায়ে হরদম বিশ্বরেকর্ড গড়ে সেই তিনিই টাইব্রেকারে শট মিস করলেন? গ্যালারি থেকে ড্রয়িংরুম বরফ শীতল নিস্তব্ধতা নেমে এলো সবখানে।
মেসি মিস করলেন, আজ কি তবে হেরে গেলেন! চরম অবিশ্বাসী যে জন তার মনেও আসেব না এই প্রশ্ন। কারণ এই দলটার নাম আর্জেন্টিনা। তারা নিজের জন্য নয় খেলে মেসির জন্য।
আরও একবার এমি মার্তিনেজ ফিরিয়ে আনলেন বিশ্বকাপ ফাইনালের টাইব্রেকারের শ্বসরূদ্ধকর মুহূর্তটা। মনে তখন তার সেই বেদ বাক্য মেসির জন্য জীবন দিতে পারি। ব্যস, ইকুয়েডরের পর পর দুটি শট আটকে দিলেন আর্জেন্টাইন বাজপাখি। বাকী কাজটা সামলে নিলেন আলভারেজ, ম্যাক অ্যালিস্টার, মন্তিয়েলরা।
টাইব্রেকারে ইকুয়েডরকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য দুদলই ছিলো সমানে সমান। সাত মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যায় ইকুয়েডর। গোল না পেলেও আর্জেন্টিনার ঘরে চাপ বাড়াতে থাকে প্রতিশোধের মিশনে থাকা দলটা। মিনিট দশেক পর ব্রেকথ্রুর বড় সুযোগ পান এনজো ফার্নান্দেজ। তবে কাজে লাগাতে পারেননি।
অবশেষে প্রথমার্ধেই ডেডলক ভাঙে আলবিসেলেস্তেদের। মেসির লাকি টাচ, কর্নার থেকে বল পেয়ে লিসান্দ্রো মার্তিনেজের হেড। লিড নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায় দুদল। ডি পলের ভুলে পেনালটি পেয়ে বসে ইকুয়েডর। কিন্তু হায় ডান পায়ে বাম পাশের পোস্টেই কিক করে বসলেন ভালেন্সিয়া, হতে পারলেন না ইকুলাইজার ।
অবশেষে কোপা আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি মিনিট খেলার রেকর্ড গড়া মেসি শট নিলেন গোলমুখে। তবে কাজ হয়নি।
নিশ্চিত জয়ে পথে আর্জেন্টিনা, অতিরিক্ত সময়ও শেষে পথে ঠিক তখনই ইকুয়েডরের ত্রানকর্তা হলেন কেভিন রদ্রিগেজ। ম্যাচ গড়ায় ১-১ ড্র নিয়ে টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকার টাইটেলের গল্পে একজনই নায়ক এমি মার্তিনিজ। কোনো অঘটন ছাড়াই দলকে নিয়ে গেলেন সেরা চারে। আর্জেন্টিনার এই জয় আরো একবার প্রমাণ করে গেলো ফুটবল ইজ আ গেম অব ইঞ্চিজ।