টানা কয়েক মাসের কূটনৈতিক উত্তেজনা ও ব্যাপক টানাপোড়েনের পর অবশেষে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত। মালদ্বীপের নতুন ‘চীনপন্থি’ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু সেনাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর ভারতের একটি নজরদারি বিমান সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে।
মালদ্বীপভিত্তিক দৈনিক মিহারুর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। গেলো ১০ মার্চ ২৫ জন সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই ফিরিয়ে আনা হবে।
এর আগে মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতির ভিত্তিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করেছিলো নয়াদিল্লি। এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য ছিলো ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করা। এছাড়াও মালদ্বীপের জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোতে টিকাদান কর্মসূচিসহ খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজও করতেন ভারতীয় সেনারা।
নির্বাচনে জয়ী হলে মালদ্বীপ থেকে সব ভারতীয় সেনা সরানোর বিষয়ে মুইজ্জু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মালদ্বীপের ‘ভারত প্রথম’ (ইন্ডিয়া ফার্স্ট) নীতি পরিবর্তনের জন্য নির্বাচনে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন মুইজ্জু।
গত নভেম্বরে তিনি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই ভারতকে তার সেনা সরিয়ে নেওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন ‘চীনপন্থি’ নেতা হিসেবে পরিচিত মুইজ্জু। আর তা নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে বলেই মত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে তার সেনাদের ফিরিয়ে নিতে হবে এমন সময়সীমা বেঁধে দেন মুইজ্জু। পরে নয়াদিল্লির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই সময়সীমা ১০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করেন তিনি।
মালদ্বীপ থেকে লাক্ষাদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।