বুধবার , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

মাশরাফি ও তার বাবাসহ ৯০ জনের নামে মামলা

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪ ১:০৪ অপরাহ্ণ

নড়াইলে মিছিলে হামলা, গুলি ও মারধরের অভিযোগ এনে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ, নড়াইল-২ আসনের সাবেক এমপি মাশরাফী বিন বিন মুর্তজাকে এক নম্বর, তার বাবা গোলাম মুর্তজাকে দুই নম্বর আসামি করে ৯০ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে অন্তত ৫০০ জনকে। তবে এখন পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

মঙ্গলবার রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি করেন সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মুজাহিদুর রহমান।

বুধবার সকালে নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল এই তথ্য জানিয়েছেন।

মামলায় জানা গেছে, তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস ও চার নম্বর আসামি হিসেবে রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক নিজামুদ্দিন খান।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুমান আরা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল কুণ্ডু ও সরদার আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অচিন কুমার চক্রবর্তী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মলয় কুণ্ডু, জেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি মাসুম, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী জহিরুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সিকদার, আইনজীবী মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

এজাহারে বলা হয়েছে, চার আগস্ট জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সদর উপজেলার নাকশি বাজার থেকে মালিবাগ হয়ে মিছিল সহকারে শহরের দিকে আসছিলেন।

মিছিলটি শহরের শেখ রাসেল সেতুর পূর্ব পাশে পৌঁছালে এক থেকে চার নম্বর আসামির হুকুমে অন্য আসামি মাহমুদুল হাসান শটগান দিয়ে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তখন সাবেক পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেনের হুকুমে আসামি হাফিজ খান মিলন ও নাঈম ভূইয়া পিস্তল দিয়ে মিছিলে গুলি করে। এতে মিছিলে থাকা শফিকুল ইসলাম ও সোহান বিশ্বাস নামের দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন। আসামিদের মধ্যে কয়েকজন বোমাবর্ষণ করেন, কয়েকজন ইটপাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ করেন। অন্য আসামিরা লোহার রড, চায়নিজ কুড়াল ও বাঁশের লাঠি নিয়ে নিরীহ মিছিলকারীদের ওপর হামলা করেন। এতে অনেকেই আহত হন। আসামিদের ভয়ে সেসময় আহত অনেকে সঠিকভাবে চিকিৎসা নিতে পারেননি। সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন এবং অনেকেই গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সময় অনুকূল পরিবেশ না থাকায় মামলা করতে পারেননি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক