বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে আটক হয়ে সে দেশে কারাভোগ করার পর সরকারের উদ্যোগে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
বুধবার দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতোয়ে বন্দর থেকে তাদের বহনকারী জাহাজ কক্সবাজার নুনিয়াছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায়।
মিয়ানমারের এই জাহাজটি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যের নিয়ে দেশে ফিরে যাবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে সিতোয়ে বন্দর থেকে মিয়ানমারের নৌজাহাজ চিন ডুইনে করে কারাভোগ করা বাংলাদেশিরা রওনা হন বলে জানায় মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস।
কারাভোগ করা ১৭৩ বাংলাদেশিদের নিতে নুনিয়াছড়া ঘাটে আগে থেকেই শুরু হয় স্বজনদের অপেক্ষা। যাচাই-বাছাই ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদেরকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
দেশে ফেরা ১৭৩ বাংলাদেশির মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজারের, ৩০ জন বান্দরবানের, সাত জন রাঙামাটির এবং একজন করে খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার বাসিন্দা।
মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে থাকা ১৪৪ বাংলাদেশি নাগরিকের কারাভোগের মেয়াদ আগেই পূর্ণ হয়। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় মিয়ানমার সরকারের ২৯ জনের সাজা মওকুফ করে দেন।
এরপর ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারের জাহাজটির বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার তথ্য পেয়ে আটকে থাকাদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে বলে দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্য রয়েছেন ২৮৫ জন। দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন তারা।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে সংঘাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের সেনা, বিজিবি ও অভিবাসন কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো। বর্তমানে থাকা ২৮৫ জন এই জাহাজে করে ফিরছেন বৃহস্পতিবার।