মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার শাখা নদী রসকাঠি অংশে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া ট্রলারে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখনও তিন শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঢাকা অঞ্চলের ডুবুরি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আলভী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান করা হবে। নদীতে স্রোতের কারণে নিখোঁজদের দেহ ভেসে যেতে পারে।
এদিকে লৌহজংয়ের উপজেলা নির্বাহী আব্দুল আউয়াল বলেছেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন নারী ও চার শিশু রয়েছে।
তিনি জানান, এখনও নিখোঁজ রয়েছে তিন শিশু। তারা হলো- তুরাণ (৮), মাহিন (৭) ও নাবা (৭)।
রোববার সকাল নৌবাহিনীর ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এর আগে বৈরি আবহাওয়া ও নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উদ্ধার অভিযান সেদিনের মতো শেষ করা হয়।
শনিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার তালতলা-ডহুরী খালের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকায় বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, ডুবে যাবার সময় ট্রলারটিতে অন্তত ৪৬ জন যাত্রী ছিলো। তাদের মধ্যে ১৯ জন সাঁতরে পাড়ে উঠতে পেরেছেন। আর বাকিদের স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।