ভারতের মুম্বাইয়ে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ জন নিহত ও অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে পাঠানো হয়েছে এইচবিটি ট্রমা কেয়ার হাসপাতালে, বাকি ১৫ জনকে পাঠানো হয়েছে কুপার হাসপাতালে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যশ এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দিনগত রাত ৩টার দিকে মুম্বাইয়ের গোরেগাওঁ এলাকায় ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। ছয়তলা ওই ভবনটি গোরেগাওঁয়ের মহাত্মা গান্ধী সড়কে অবস্থিত। অগ্নিদগ্ধ ভবনটির নাম জয় ভবানী বিল্ডিং।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন প্রথমে নীচতলার দোকান ও গাড়ি রাখার জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে এলে আগুনের লেলিহান শিখা উপরের তলাগুলোতে পৌঁছাতে শুরু করে। সেসময় ভবনটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে দাঁড় করানো একাধিক গাড়িতে আগুন লেগে যায়। উপরতলার বহু মানুষ আটকা পড়ে ও নীচতলায় আগুন লাগায় কেউ বেরও হতে পারছিলেন না। প্রাণ বাঁচাতে বেশ কয়েকজন ভবনটির ছাদে উঠে যান।
মুম্বাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রবীন্দ্র অম্বুলগেকর জানান, আগুন লাগা ভবনটি ২০০৬ সালে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হয়েছিল। ভবনটিতে আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। তাছাড়া ভবনে যে লিফট ছিল, সেটিও বহু পুরনো। এই লিফটের ডাক্ট দিয়েই ওপরের তলাগুলোতে বিষাক্ত ধোঁয়া চলে যায় ও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আগুনের খবর পেয়ে খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের ৮টি গাড়ি ও ৫টি জলের ট্যাংকার। সঙ্গে ছিল অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী গাড়ি। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর ভোর ৬টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মুম্বাই ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কী করে আগুন লাগলো, তা এখনো জানা যায়নি। কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি