সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে সাড়ে চার বছর আগে। বর্তমানে কমিটির অর্ধেকের বেশি নেতা বিবাহিত ও চাকরিজীবী। ফলে সাংগঠনিক কাজে তারা তেমন সময় দিতে পারেন না। এতে উপজেলায় ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি কমিটি না দেওয়ায় নতুন নেতৃত্বও তৈরি হচ্ছে না। এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবিদার তিন নেতা। তবে জেলার নেতারা বলছেন কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, ১৪ বছর পর কোম্পানীগঞ্জ ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি। মো. এখলাছুর রহমানকে সভাপতি ও মো. ফারুকুজ্জামান রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ৩৭ সদস্যের এ আংশিক কমিটি অনুমোদন করে তৎকালীন সিলেট জেলা ছাত্রলীগ। তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা কমিটি গঠনের নির্দেশনা ছিল ওই কমিটির দায়িত্বশীলদের ওপর। কিন্তু সাড়ে পাঁচ বছরেও তা হয়নি। এদিকে সংগঠনের আংশিক কমিটিতেই এখন ১৪ জন বিবাহিত ও ৯ জন চাকরিজীবী। তাছাড়া হাতেগোনা কয়েকজন বাদে কমিটির অধিকাংশেরই ছাত্রত্ব নেই।
সভাপতি এখলাছুর রহমান দেড় বছর আগে দেশত্যাগ করেছেন, এখনো ফেরেননি। তিনি দেশে না ফেরায় নিজেদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলে দাবি করছেন তিনজন। এরা হলেন-শামসুল, রূপক ও হাসান। তারা নিজ নিজ বলয়ও তৈরি করেছেন। সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকুজ্জামান রানাও বিবাহিত। তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রমের চেয়ে সংসারেই বেশি সময় দিচ্ছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ওমর আলী বলেন, সভাপতি দেশে নেই, কমিটির অধিকাংশ নেতাই বিয়ে করে সংসার নিয়ে ব্যস্ত। আবার অনেকেই? বিভিন্ন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। এজন্য বর্তমান কমিটিকে বিলুপ্ত করে নতুন একটি সক্রিয় কমিটি গঠন করা জরুরি।
জানতে চাইলে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগে কাউকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। শিগগিরই সেখানে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি ও স্থানীয় নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে যোগ্য, মেধাবী ও সাহসী ছাত্রদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। শিগগিরই এ উপজেলাসহ পর্যায়ক্রমে সিলেটের সব উপজেলা ও কলেজে কমিটি দেওয়া হবে। কমিটিতে নিবেদিত কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।