সোমবার , ১৩ মার্চ ২০২৩ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

যাদের এতটুকু ভদ্রতা নেই তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
Newsdesk
মার্চ ১৩, ২০২৩ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেছেন, কার সঙ্গে সংলাপ? যাদের এতটুকু ভদ্রতা নেই, তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ?

সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে সংলাপ করেছি, রেজাল্টটা কী? নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ ছাড়া কিছুই করেনি। ৩০০ আসনে ৭০০ নমিনেশন দিয়ে টাকা খেয়েছে। এরপর নিজেরা সরে গিয়ে নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’

‘১৫ আগস্ট আমার বাবা-মায়ের হত্যাকারী; গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা; তারপরও তাদের সাথে বসেছি শুধু দেশের স্বার্থে। শুধু তা-ই নয়, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেল, আমি গেলাম দেখতে। একজন সন্তানহারা মাকে সহানুভূতি জানাতে। আমাকে কীভাবে অপমানটা করল, আমার গাড়ি ওই বাড়ির মধ্যে ঢুকতে দিল না, বড় গেইট বন্ধ; টেলিফোন করে সময় নেওয়া হয়েছিল। আমি এসময় আসব, তারা কী করল, বড় গেইট বন্ধ করে দিল। পরে ছোট গেইটে গেলাম, আমার গাড়ি যাওয়ার পর সেটাও বন্ধ করে দিল। এত অপমানের পর তাদের সঙ্গে কীসের বৈঠক?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার পরিষ্কার কথা, যারা এটুকু ভদ্রতা জানে না তাদের সাথে বৈঠকের কী আছে? কেউ পারবেন বাবা-মায়ের হত্যাকারীদের সাথে এভাবে বসে বৈঠক করতে? যেটুকু সহ্য করেছি দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, নিজের স্বার্থে না। ’

খালেদা জিয়ার ভাই এসে, বোন এসে আমার কাছে আকুতি করল। এরপর আমি তার সাজাটা স্থগিত করে বাসায় থাকা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এটুকু যে করেছি সেটাই যথেষ্ট। এত অপমানের পর তারা যে সহানুভূতি পেয়েছে, সেটা শুধু আমার কারণে।’

রোহিঙ্গারা বোঝা, এক কোটি বাংলাদেশিও ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য বোঝা। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে এক কোটি শরণার্থী বিদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই কথাগুলো মনে করেই মানবিক কারণে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। মানুষের বিপদে তার পাশে থাকতে হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি।’

রোহিঙ্গাদের যুদ্ধকালীন আশ্রয় দেওয়া হয়েছে— জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ওপর সকলের দৃষ্টি ছিল। সেটা অনেকটা কমে গেছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যে যুদ্ধ চলছে, সেদিকে সবার ফোকাস চলে গেছে। আমরা যেহেতু তাদের আশ্রয় দিয়েছিল, তাই দায়িত্বও আমাদের। মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা কিন্তু ঝগড়া করতে যাইনি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করে যাচ্ছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। কিন্তু তাদের মধ্যে সে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই বিশাল জনগোষ্ঠী, তাদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা সবকিছু…; তারপর এটা মনে রাখতে হবে যে প্রথম যখন রোহিঙ্গারা দেশে আসতে শুরু করল, প্রথম কয়েক মাস কিন্তু আমরা নিজেদের টাকায় তাদের থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা সবকিছু এককভাবেই করেছি। এরপর অন্যান্য দেশ সহযোগিতায় এগিয়ে এলে একটু সুবিধা হয়। আমি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে বলেছি, তাদের চেষ্টা চালানো উচিত যেন মিয়ানমারে তারা যায়। ভাসানচরে আমরা তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। আমরা চাই তারা যেন ভাসানচরে যায়। অন্তত তাদের জীবন-জীবিকার সুযোগ তারা পাবে এবং ভালো একটা পরিবেশে থাকতে পারবে।’

রমজানে দ্রব্যমূল্যের কষ্ট লাঘবে যথাযথ ব্যবস্থা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা এখন আর পরনির্ভরশীল নই। আমরা নিজেরাই এখন উৎপাদন করছি। আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে। আশা করি রমজানে কোনো অসুবিধা হবে না। তবে কেউ খাদ্যপণ্য মজুত করে পচিয়ে ফেললে আমাদের তো কিছু করার থাকবে না। সেদিকে সাংবাদিকদেরও একটু নজর রাখতে হবে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘খাদ্যদ্রব্য নিয়ে সমস্যাটা হচ্ছে, দাম বেশি কমালে উৎপাদকদের লোকসান হবে। আবার দাম বেশি বাড়ালে ভোক্তাদের কষ্ট হয়। এ জায়গায় সবসময় ব্যালেন্স করতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, আমরা বিরোধীদলে থাকার সময়ও বসে থাকিনি। তখন আমরা ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে কাজ করেছি।

এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে যে আমার শক্তি একমাত্র আমার জনগণ। আর উপরে আল্লাহ আছেন।’

তিনি বলেন, আমার বাবার আর্শীবাদের হাত আমার মাথায় ওপরে আছে। কাজেই কে কী চাপ দিল না দিল, তা নিয়ে আমার কিছু আসে যায় না।

‘জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে যা কিছু করার তা আমি করব। এরকম বহু চাপ আমাকে দেওয়া হয়েছিল। পদ্মসেতুর আগে তো কম চাপ দেওয়া হয়নি। অনেক চাপের পরও কিন্তু নিজেদের অর্থে আমরা পদ্মাসেতু বানিয়ে দেখিয়েছি।’

৭০ বছর বয়সেও একটা লোক এমডি থাকতে চায়, সেই চাপও শেখ হাসিনা সহ্য করেছে— মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছি

আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম নির্বাচন কমিশন করার জন্য আইন করে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই আইনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সবসময় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে ছিল, আওয়ামী লীগই প্রথম নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাধীন করে দিয়েছি। আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিয়েছি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক