মারা গেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।
স্থানীয় সময় বুধবার রাতে তার মৃত্যুর খবর জানায় কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস।
বিবৃতিতে বলা হয়, কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
উল্লেখ্য, হেনরি কিসিঞ্জার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
হেনরি কিসিঞ্জারের জন্ম জার্মানিতে। ১৯২৩ সালের ২৭ মে দেশটির এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে তার পরিবার পালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যায়। ওই শহরেই বেড়ে ওঠেন কিসিঞ্জার।
১৯৭৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান হেনরি কিসিঞ্জার। ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে তাকে নিয়ে বিতর্কও রয়েছে।
কেন বিতর্কিত হেনরি কিসিঞ্জার?
হেনরি কিসিঞ্জারকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মার্কিন কূটনীতির প্রতীক বিবেচনা করা হলেও অনেকেই তাকে বিতর্কিত তকমা দিয়ে থাকেন। বিতর্কিত ভূমিকার জন্য তাকে অনেকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলেও অভিযুক্ত করে থাকেন।
কম্বোডিয়া ও লাওসে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সম্প্রসারণ, চিলি ও আর্জেন্টিনায় সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন, ১৯৭৫ সালে পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশিয়ার রক্তক্ষয়ী অভিযানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক নৃশংসতার বিষয়ে চোখ বন্ধ রাখা— এসব অভিযোগ রয়েছে কিসিঞ্জারের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পর হেনরি কিসিঞ্জার মন্তব্য করে বলেছিলেন, “বাংলাদেশ একটি ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হতে যাচ্ছে।”
সূত্র: বিবিসি, স্কাইনিউজ, নিউ ইয়র্ক পোস্ট