যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো প্রভাব রাখতে চায় না। এমনকি কোনো পক্ষ প্রভাবিত করুণ তাও চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে নেতা নির্বাচনের যে আকাঙ্ক্ষাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে তাদের নেতাদের নির্বাচন করতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র কেবল এটাই নিশ্চিত করতে চায়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না।
সোমবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় এক সাংবাদিক মিলারের কাছে বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মী বা সাংবাদিকদের ওপর ভিসা নীতি কার্যকরের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের একটি বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে বলেন, বিরোধী নেতাদের পাশাপাশি বাংলাদেশকে তালেবান-স্টাইলের ভূমিকার পক্ষে থাকা কট্টরপন্থি গোষ্ঠীগুলো ইতোমধ্যেই মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের হুমকি দিচ্ছে, এমনকি উগ্র মতবাদের সমালোচনাকারী সাংবাদিকদের তালিকাও প্রচার করছে।
অন্যদিকে, নাগরিক ও মানবাধিকার কর্মী, যুদ্ধাপরাধ বিরোধী কর্মী, সম্পাদক, সাংবাদিক, লেখক, সংখ্যালঘু নেতারা গণমাধ্যমে সম্ভাব্য ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের বিবৃতিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি অবমাননা হিসাবে দাবি করে ওই সাংবাদিক বলেন, আপনি কি রাষ্ট্রদূতের বিবৃতিকে সমর্থন করেন এবং ধর্মনিরপেক্ষ জাতিকে সমর্থনকারী এত বড় উদারপন্থি গোষ্ঠীর উদ্বেগকে সরাসরি অস্বীকার করেন?
জবাবে মিলার বলেন, আমি গত সপ্তাহে যা বলেছিলাম তা একটু ভিন্ন ভাষায় আবারও বলি। বাংলাদেশিরা নিজেরাই যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও সেটিই চায়, আর তা হচ্ছে- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়া সকলেই তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক, ঠিক যেমনটা আমরাও চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের নীতি ঘোষণা করেছি তা এই উদ্দেশ্য এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।