যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সর্বশেষ সফরেও তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। তারা শেষ কথা যা বলেছেন তাতে বিএনপির আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সরতার পতন, ব্যর্থতা, সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা- এসব বিষয়ে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) কিছু পায়নি। সেজন্য তারা চুপ করে থাকার কৌশল নিয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিদেশি বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। আর বন্ধুর পরিবর্তে যারা প্রভুর ভূমিকায় আসতে চায়, তাদের আমরা মানি না।
মন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল সর্বশেষ সফরেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। তারা শেষ কথা যা বলেছে, তাতে বিএনপির আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু নেই। সরকার পতন, ব্যর্থতা, সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা- এসব বিষয়ে তারা কিছু পায়নি। সেজন্য তারা চুপ করে থাকার কৌশল নিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড শুনতে শুনতে কান ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। এখন তাদের গলার জোর একটু কমে গেছে। মুখে বিষটা আরও উগ্র হয়ে গেছে। তাদের আন্দোলনে ব্যর্থতা, নির্বাচনে না আসার ব্যর্থতা- এসব তাদের বেসামাল ও বেপরোয়া করেছে। তারা নেতিবাচক মানসিকতা সরকারের ওপরে চাপাচ্ছে, যা বাস্তবে আমরা দেখি না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ষড়যন্ত্রের গন্ধ সব ব্যাপারে বলতে চাই না। এখন বিএনপির কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কারণ, তারা বলেছিল নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হলে পাঁচ দিনও টিকবে না। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যা চায়, সেই চাওয়াটা পাওয়া হয়নি। তারা শুনতে চেয়েছিল সরকারের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আসবে। ভিসানীতি আরোপ হবে- এমন স্বপ্ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তারা বৈঠকে গিয়েছিল। কিন্তু তারা তাদের কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল সেদেশের পক্ষে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে এমন এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশের জনগণ প্রমাণ করেছে। এত উস্কানি, এত আন্দোলন, পিকনিক পার্টির সমাবেশে জনগণ প্রলুব্ধ হয়নি, প্ররোচিতও হয়নি। দেশের জনগণ সারা বিশ্বের খবর রাখে। সারা বিশ্বের সব খবর নিয়ে গ্রামে চায়ের দোকানে রীতিমতো গবেষণা হয়। মানুষ বুঝে এখানে সরকারের দোষ নেই। দ্রব্যমূল্য বাংলাদেশের একার নয় সমস্যা নয়। সারা দুনিয়াতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। পৃথিবীর একটি দেশ দেখান যেখানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। তবে আমাদের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা এখনো আছে। আমরা আশা করি সামনের রমজানেও জিনিসপত্র পর্যাপ্ত থাকবে।
চাঁদাবাজির কারণে গরুর মাংসের দাম বাড়ার অভিযোগের প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজির একটি বিষয় অবশ্যই আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠিন বক্তব্য রেখেছেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিদেশি ঋণ পরিশোধ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের ঋণ খেলাপি হওয়ার রেকর্ড নেই, এবারও হবে না। তবে ঋণ বাড়তে পারে।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।