বৃহস্পতিবার , ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

রাজনীতিতে নতুন জোট আসছে বাম-প্রগতিশীলদের ! 

প্রতিবেদক
Newsdesk
জানুয়ারি ২, ২০২৫ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘বাম, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, উদারনৈতিক ও স্বাধীনতার পক্ষের’ রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি নতুন জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনটি দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো অগ্রসর হয়েছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনার পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও শুরু হয়েছে। আগামী ৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাজধানীতে ‘ঢাকা সমাবেশ’ নামে সিপিবির কর্মসূচি রয়েছে। এই কর্মসূচির পর নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়া আরও জোরালোভাবে শুরু হবে। দীর্ঘদিনের শাসক দল অর্থাৎ আওয়ামী লীগ, বিএনপির দ্বিদলীয় মেরুকরণের বাইরে একটি গণতান্ত্রিক জোট গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে ওই নেতারা জানান।

নতুন এই জোট গঠনের উদ্দেশ্য ও জোট সম্পর্কে নেতারা বলছেন, গণআন্দোলনের যে চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা; পুঁজিবাদী, বুর্জোয়া, সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলগুলো দিয়ে এই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়। সেখানে জনগণের সামনে একটি বিকল্প রাজনৈতিক জোট দরকার। যে জোট এই চেতনাগুলো ধারণ করবে। এই জোট আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেবে।

এই জোটে সিপিবি-বাসদের নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোটের দলগুলো থাকছে। থাকবে বাংলাদেশ জাসদও। আলোচনা চলছে গণফোরামের সঙ্গে। এই জোটে আরও আসতে পারে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম জোটের দলগুলোও। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, ঐক্য ন্যাপ, পাহাড়ি সংগঠন, দলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের যেসব সংগঠন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে নেতৃস্থানীয় যারা আছেন, তাদেরও এই জোটে টানার প্রক্রিয়া আছে। এরই মধ্যে কোনো কোনো দল ও জোটের সঙ্গে একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অচিরেই আনুষ্ঠানিকভাবে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু হবে বলে নেতারা জানান।

ওই নেতারা আরও বলছেন, এই জোট গঠন হলে সেটি নির্বাচনী জোটে রূপ দেওয়া হবে। এর আগে কর্মসূচিভিত্তিক জোট হবে। বিভিন্ন ইস্যুতে কর্মসূচি দিয়ে দলগুলো জোটবদ্ধভাবে মাঠে নামবে। এরপর আগামী নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

এদিকে নতুন এই জোটের পাশাপাশি সিপিবি-বাসদের নেতৃত্বে বাম গণতান্ত্রিক জোট নামে যে প্লাটফর্ম রয়েছে বা ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম জোট, এ জোটগুলোও আলাদা যেভাবে আছে নিজস্ব স্বতন্ত্র বজায় রেখে থাকতে পারবে। এই জোটগুলোতে যে দল রয়েছে সে দলগুলো নতুন জোটেও ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম  বলেন, বিকল্প একটি গণতান্ত্রিক জোট গঠনের উদ্যোগ আছে। জানুয়ারি মাসে আমরা এ বিষয়ে আনুুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করবো।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—এই দুই দলের মেরুকরণের বাইরে আমরা গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তি ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিকল্প একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে কোনো কোনো দলের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। আবার কোনো কোনো দল ও জোটের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে কর্মসূচিও পালন করেছি। আগামীতে আন্দোলন ও নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন একটি জোট গঠনের প্রক্রিয়া আমরা তাড়াতাড়িই শুরু করবো। সেখানে দ্বিদলীয় ধারার বাইরে বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক দল ও সংগঠনগুলো, এমনকি ব্যক্তিকেও ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা থাকবে।

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, বৃহৎ একটি জোট গঠনের উদ্যোগ আছে। আমরা আলোচনা শুরু করেছি। সিপিবি, বাসদ, গণফোরামের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বাম, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, উদারনৈতিক দলকে নিয়ে এ ধরনের একটি জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। আগামী ৩ জানুয়ারি ঢাকায় সিপিবির সমাবেশ আছে। এই কর্মসূচির পর আমরা আনুুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করবো।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ  বলেন, বাম, গণতান্ত্রিক দলগুলোর বৃহৎ একটি বলয় আমরা গড়ে তুলতে চাই। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক শ্রেণীর রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতে বিকল্প একটি রাজনৈতিক জোট প্রয়োজন। এ নিয়ে আমাদের দুই-একটি বৈঠক হয়েছে। পুঁজিবাদ, সুবিধাবাদ টিকিয়ে রেখে গণআন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়ন হবে না। এজন্যই আমরা বাম, গণতান্ত্রিক এবং যারা পুঁজিবাদ-সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে তাদের নিয়ে একটি জোট করতে চাই।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত