আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের লক্ষ্যে জোর তৎপরতা শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল- আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মধ্যে সংলাপ চাইছে দেশটি।
একইসঙ্গে সংলাপের লক্ষ্যে এসব দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহও প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিন দলকে ডোনাল্ড লুর চিঠি
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন। সোমবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির কাছে চিঠি হস্তান্তরও করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। চিঠির কথা স্বীকার করেছে বিএনপিও। তবে এ চিঠির বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি আওয়ামী লীগ।
ডোনাল্ড লুর চিঠিতে কী আছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তিন প্রধান রাজনৈতিক দলকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন চিঠিতে।
বৈঠক করতে চান পিটার হাস
নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান তিন রাজনৈতিক দলগুলোর সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি ইতোমধ্যেই সোমবার জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকও করেছেন। নির্বাচনের আগে তিন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শর্তহীন সংলাপ যেন অনুষ্ঠিত হতে পারে, বা দলগুলোর মধ্যে যেন একটি সমঝোতা হতে পারে, সে লক্ষ্যেই তিনি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় সরকারের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন সংলাপ আহ্বানের বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমরা সবসময় বলি যে অপছন্দ করলেও কিছু জিনিস আমাদের করতে হয়। নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ যে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন করেছেন, তারা সবাই মিলে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি সংবিধান তৈরি করেছেন।
বিভিন্ন সামরিক সরকারের সময় সেই সংবিধানটি নানা কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। তবে গণতান্ত্রিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আমরা এটিকে মোটামুটি আবার আগের জায়গায় আনার চেষ্টা করেছি। সেই সংবিধান অনুযায়ী এবং সংবিধানের আলোকে যে আইন প্রণয়ন হয়েছে সেটি অনুযায়ী নির্বাচন হবে।