ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রেলপথের ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার নওয়াপাড়া মহল্লায় রেলের এক হাজার ৫০০ স্লিপারের ক্লিপ কে বা কারা খুলে রেখে যাওয়ায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা ভাঙ্গার সাথে রাজবাড়ীর রেলযোগাযোগ বন্ধ ছিল।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দুই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে কেউ স্লিপারের ক্লিপগুলো খোলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুর হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত তিনটি ট্রেন যাওয়া-আসা করে। এর মধ্যে সকাল ৮টা ও সন্ধ্যা ৭টার দিকে ‘রাজবাড়ি এক্সপ্রেস-৩’ এবং দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী থেকে আন্তঃনগর ট্রেন ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ ভাঙ্গায় গিয়ে পৌঁছায়।
রাজবাড়ী রেলওয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে ছুটে যায় লোকাল ট্রেন ‘রাজবাড়ি এক্সপ্রেস-৩।’ সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে ট্রেনটি ভাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গা পৌরসভার নওয়াপাড়া মহল্লায় গিয়ে পৌঁছায়। এসময় সেখানে দেখা যায় স্লিপারের ক্লিপ খোলা। এ জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর রাজবাড়ী থেকে রেলের বিশেষজ্ঞ দল এসে রেললাইন মেরামত করে সাড়ে ৯টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক করে। পরে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ভাঙ্গার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। রাত ১০টার দিকে ভাঙ্গা স্টেশনে যাত্রী নামিয়ে রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান বলেন, রেললাইনের স্লিপারের আনুমানিক দেড় হাজার স্লিপার খুলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে রাজবাড়ী থেকে রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অভিজ্ঞরা এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক করে।
ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, ফরিদপুরের বাখুন্ডা ও পুখুরিয়া পার হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় নিয়মিতই ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারা হয়। মাঝে মাঝে যাত্রীরা আহত হন। তবে আজকের ঘটনাকে এমন বিচ্ছিন্ন মনে হচ্ছে না। আজকের কাজটা সুপরিকল্পিতভাবে কোনো সংঘবদ্ধচক্র করে থাকতে পারে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ওসি সোমনাথ বসু বলেন, ওই ট্রেনে আমাদের পুলিশ ছিল। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষ মামলা করবে বলে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।