ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাতেও বিক্ষোভ করেছে মিছিল করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রোববার (১৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নানা স্লোগানে শিক্ষার্থীদের হল থেকে টিএসসির দিকে আসতে দেখা যায়।
রাত ১১টার পর একটি বিশাল মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিভিন্ন হলের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। তাদের ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। হল থেকে বের হয়ে মিছিলে যোগ দেন নারী শিক্ষার্থীরাও।
এ ছাড়াও তাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র কারো বাপের না’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘আমার স্বাধীন বাংলায়, একের কথা চলে না’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না’ ইত্যাদি স্লোগানও দিতে দেখা গেছে।
এর আগে, বিকেলে চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কোটা পাবে না, তো কি রাজাকারের নাতিরা পাবে? বিচিত্র আমাদের দেশ, বিচিত্র আমাদের মানসিকতা।’ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোটার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে আমি খুব বিরক্ত হয়ে যাই। তখন একপর্যায়ে বলি, কোটা বাদ দিলাম। আমার উদ্দেশ্যটা ছিল– কোটা বাদ দিলে অবস্থাটা কী হয়, সেটা দেখানো। এখনও কী অবস্থা হয়েছে সেটা দেখতে বেশিদূর যাওয়া লাগবে না। এবারই দেখেন, ফরেন সার্ভিসে মাত্র দুজন মেয়ে চাকরি পেয়েছেন। আর পুলিশ সার্ভিসে চার জন মেয়ে চান্স পেয়েছেন। শুধু মেডিকেলের ক্ষেত্রে নারীরা কিছুটা এগিয়ে