নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা, পররাষ্ট্র, সংসদ, চাকরি, শিক্ষা এবং বিনোদনসহ ১০টি খাতে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই প্রস্তাবগুলো নির্বাচিত কোনো সরকারের জন্য নয় জানিয়ে দলটি জানায়, তাদের মোট ৪১টি প্রস্তাব আছে। তার মধ্যে আপাতত গুরুত্বপূর্ণ ১০টি প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া হলো।
বুধবার দুপুরে দলটির পক্ষ থেকে ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা’ উপস্থাপন করেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
জামায়াতে ইসলামী মৌলিক সংস্কার শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় জানিয়ে ডা. তাহের বলেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থবহ হবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল করতে হবে। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ীভাবে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ইভিএম ভোটিং বাতিল করতে হবে।
এক ব্যক্তি পর পর দুই বার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না দাবি করে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আগামী দুই বছরের জন্য ৩৫ বছর ও পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর এবং অবসরের বয়স ৬২ প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশনের অনেক সংস্কার প্রয়োজন। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করতে হবে। প্রয়োজনে আইনের সংশোধন করতে হবে। একই সঙ্গে সংসদে বিরোধীদলের ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ দিতে হবে।
ডা. তাহের আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা সংস্কারের মধ্যে পুলিশের ব্রিটিশ আইন বাতিল করতে হবে। পুলিশে নিয়োগে দলীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। পুলিশ ট্রেনিংয়ে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং পুলিশের কাছে মারণাস্ত্র দেওয়া যাবে না। র্যাবে যারা গত ১৫ বছর কাজ করেছেন তাদের ফিরিয়ে আনা যাবে না ও র্যাবের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে সংস্কার করতে হবে।