অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় রিমান্ড শেষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এ সময় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর।
অপরদিকে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে এ মামলায় আলালকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১ নভেম্বর আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালামের উস্কানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে গ্লাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করে। এতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।