দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে কিছুটা বিলম্বে রোববার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর। সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন।
এদিকে শেষ মুহুর্তে ষ্টল নির্মান সম্পন্ন করতে সকাল থেকে রাত অবধি কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন ষ্টল তৈরির কারিগরেরা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ষ্টল তৈরির কাজ শেষ করতে পারবেন বলে আশা করছেন দোকান মালিকেরা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনন উপলক্ষ্যে সর্বাত্মক নিরাপত্তার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে জন্য কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও মেলা কর্তৃপক্ষ। মেলা চলাকালীন যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃংখলা বাহিণীর পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, রাজধানীর উপকন্ঠ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল নতুন শহরের স্থায়ী ভেন্যুতে রোববার থেকে মাস ব্যাপী তৃতীয়বারের মতো বসতে যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮ তম আসরের।
এবার মেলার সরকারের উন্নয়নমূলক চিত্র ফুটিয়ে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে প্রধান প্রবেশদ্বার। পাশাপাশি থাকতে রূপপুর পারমানবিক বিদুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র। মেলায় এবার বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মান করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ীর আদলে। মেলায় ১০ ক্যাটাগরিতে থাকছে ৩৫০টি ষ্টল। থাকছে ১২ টি দেশের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ধরনের ষ্টল।
স্টল নির্মান জোরেশোরে শেষ করতে সকাল থেকে গভীর রাত অবধী ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগরেরা। বিভিন্ন ষ্টলে চলছে রং দেয়া কাজ। কোন কোন ষ্টল সাজানো হচ্ছে পণ্য সামগ্রী দিয়ে। প্রায় বেশীরভাগ ষ্টল নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। মেলার উদ্বোধনের আগেই মালিকপক্ষকে পুরোপুরি নির্মিত ষ্টল হস্তান্তর করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নির্মাণ কাজের ঠিকাদার ও কারিগরেরা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) ও জেলা পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।
এবছর মেলায় আগত শিশুদের জন্য থাকতে এটি অত্যাধুনিক শিশু পার্ক। মেলায় যেন কোন প্রকার সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি থাকছে ৫টি ওয়াচ টাওয়ার। রাজধানী প্রবেশদ্বার কুড়িল থেকে বাণিজ্য মেলায় আসা-যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনা সরণি সড়কটি পুরোপুরি খুলে দেয়ায় রাজধানীসহ আশেপাশের দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন এবারের মেলায়।
এবছর মেলায় বড়দের প্রবেশের টিকেটের মূল্যে নির্ধারন করা হয়েছে ৫০ টাকা, শিশুদের জন্য টিকেটের মূল্যে ২০-২৫ টাকা। প্রতিদিন মেলা খোলা রাখা হবে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ছুটির দিন খোলা থাকবে সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশী হবে বলে আশা করছে মেলা কর্তৃপক্ষ।