নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ২৪০ আসন পাওয়ায় এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না। সরকার গঠনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) সব দলের সমর্থন দরকার নরেন্দ্র মোদির।
এর মধ্যে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) নেতা নীতীশ কুমার এবং অন্ধ্র প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্রবাবু নাইডুর সমর্থন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই সমর্থন নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চললেও অবশেষে মোদিকে লিখিত সমর্থন দেন তারা।
বুধবার বিকেলে নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করতে নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে এনডিএ নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট বুধবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করবে এবং নতুন সরকার গঠনের দাবি করবে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দ্রুত করতে চান এবং নরেন্দ্র মোদীকে ‘দ্রুত করুন’ বলে তাগাদা দেন।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার একদিন পর বুধবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এনডিএ জোটের শরিকদের বৈঠকে নীতিশ কুমার বলেছেন, সরকার গঠনে কোনো বিলম্ব করা উচিত নয়। আমাদের এটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করা উচিত।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং জেডিইউ নেতা লল্লান সিং এবং সঞ্জয় ঝা।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বুধবার সকালে পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং শনিবার টানা তৃতীয়বারের মতো শীর্ষ পদে তার শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের পর সকলের দৃষ্টি ছিলো জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার এবং টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর দিকে, যারা সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দিল্লিতে এনডিএ অংশীদারদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছিলেন, ‘আমরা এনডিএ-তে আছি। আমি একটি এনডিএ বৈঠকে যাচ্ছি। সময়ের সাথে সাথে কিছু হলে আমরা আপনাদের রিপোর্ট করব।’
টিডিপি অন্ধ্র প্রদেশের ২৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৬টি জিতেছে, আর জেডিইউ বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ১২টি আসন জিতেছে। মাত্র ২৪০টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়ে বিজেপি এইবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ছিটকে পড়েছে। মিত্রদের সহায়তায় এনডিএ ২৯২টি আসন জিতেছে।