ত্রিপোলির বেনগাজী ডিটেনশন সেন্টারে আটকে থাকা আরও ১৩৬ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম’র সহযোগিতায় তারা দেশে ফেরেন।
১৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক পৌঁছালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ছয় হাজার ৫৮ টাকা ও কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান প্রত্যাবাসনকৃত বাংলাদেশিদের খোঁজখবর নেন। তিনি বাড়িতে ফিরে লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে থাকা বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই আরও অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০২৩ সময়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার ভাড়া করা চারটি চার্টার্ড ফ্লাইটে সর্বমোট ৫৩৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটকে থাকা ১৪৩ জন, ৩০ নভেম্বর ১১০ জন ও ৬ ডিসেম্বর বেনগাজী ডিটেনশন সেন্টারে আটকে থাকা ১৪৫ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।