লেবাননে ইসরাইলি বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩৫ জন শিশু ও ৫৮ জন নারী রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক হাজার ৬৪৫ জন। খবর গার্ডিয়ানসহ একবাধিক অন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ‘কথিত হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে’ ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৯৭৫-৯০ সালের গৃহযুদ্ধের শেষের পর থেকে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
গার্ডিয়ানের খবর অনুযায়ী, রাজধানী বৈরুতের দিকে প্রধান সড়ক বরাবর দক্ষিণ লেবাননের শহর ও গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে।
সোমবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি নিরাপত্তা বৈঠকে বলেছেন, সেনাবাহিনী তার উত্তর সীমান্তে ‘নিরাপত্তা ভারসাম্য’ পরিবর্তন করছে। ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম আমরা নিরাপত্তা ভারসাম্য, উত্তরে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন করবো – এবং আমরা ঠিক এটিই করছি’।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননে ‘পরবর্তী পর্যায়ের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
হালেভি বলেন, মূলত আমরা যুদ্ধের অবকাঠামো লক্ষ্য করছি, যা হিজবুল্লাহ গত ২০ বছর ধরে তৈরি করছে। এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে আইডিএফ বলেছে, এটি গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৩০০টির বেশি হিজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। যা গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এবং হিজবুল্লাহ হামাসকে সমর্থন দিয়ে ইসরাইলে হামলা শুরু পর থেকে জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর সবচেয়ে বড় আক্রমণ।
ইসরাইলি মিডিয়া জানিয়েছে, স্ট্রাইকের লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর তিন নম্বর সামরিক কমান্ডার আলী কারাকি। যদিও দলটি জানিয়েছে তিনি একটি নিরাপদ অবস্থানে এবং আক্রমণে অক্ষত ছিলেন।
এদিকে প্রায় ৩৫টি রকেট লেবানন থেকে ইসরাইলের সাফেদ এলাকার দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, কিছু আমিআদ সম্প্রদায়ের কাছে খোলা জায়গায় নামানো হয়েছে।