দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় তহবিলের আকার শত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আর এই অর্থ জমা আছে ২১টি ব্যাংক হিসাবে।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব শফিউল আজিমের কাছে ২০২৩ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় হয়।
হিসাব জমা দিতে কমিশনে যান দলের কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
জমা হিসাবে দেখা গেছে, আগের বছরের তুলনায় গত বছরে আয় ও ব্যয় দুটোই বেড়েছে আওয়ামী লীগের। ২০২৩ সালে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, ২০২২ সালে ব্যয় ছিল ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
২০২৩ সালে আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এর আগের বছরের আয় ছিল ১০ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
গত বছরে পহেলা জানুয়ারি আওয়ামী লীগের তহবিলে জমা ছিল ৭৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। বছর শেষে অর্থাৎ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় ৯০ কোটি ৫৫ লাখ ৩১ হাজার টাকায়।
আর বর্তমানে এই তহবিলের আকার ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আশিকুর রহমান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থাকায় গত বছর দলীয় তহবিলে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে। এ খাতে আয় ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
চার কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আয় হয়েছে ব্যাংক সুদ থেকে। দুই কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা এসেছে অন্যান্য ফরম বিক্রি থেকে।
এছাড়া মাসিক চাঁদা থেকে এক কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার, অনুদান থেকে এক কোটি এক লাখ এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভাড়া থেকে আয় হয়েছে ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
যে ২১টি ব্যাংক হিসাবে দলের অর্থ জমা রয়েছে, তার মধ্যে ১৫টি স্থায়ী বা মেয়াদি হিসাব, তিনটি সঞ্চয়ী এবং আরও তিনটি চলতি হিসাব।