পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত এমএনএ-দের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাকিস্তানের ১৬তম জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন।
বুধবার সকালে নবনির্বাচিত এমএনএদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ। খবর জিও টিভির।
নতুন শপথ গ্রহণকারী আইনপ্রণেতাদের মধ্যে রয়েছেন: মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) চেয়ারম্যান নওয়াজ শরীফ, প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরীফ, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-এর কো-চেয়ারম্যান আসিফ জারদারি, চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি এবং জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম, ফজল (জেইউআই-এফ)-এর চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুর রহমানসহ দলগুলোর নির্বাচিত নেতারা।
এছাড়াও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান গহর খানসহ পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) এমপিরাও শপথ নিয়েছেন।
তবে এর আগে নির্বাচনে কথিত কারচুপির অভিযোগে পার্লামেন্টেই প্রতিবাদ জানায় দলটি। এসময় হট্টগোল শুরু হয়। পরে পিটিআই আইনপ্রণেতাদের শান্ত হতে বলে সকল সদস্যকে শপথ পাঠ করান স্পিকার।
পহেলা মার্চ জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার এবং ৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন নবনির্বাচিত এমপিরা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। ১১ ফেব্রুয়ারি সেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি, তার মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ২৬৫টি আসনে। কোনো দল যদি সরকার গঠন করতে চায়, তাহলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অন্তত ১৩৩টি আসনে সেই দল বা জোটকে জয়ী হতে হবে।
কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)— ৯২টি আসন। পিটিআইয়ের পর এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)— ৭৫টি আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)— ৫৪টি আসন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)— ১৭টি আসন, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম- ফজলুর (জেইউআইএফ)—৪টি আসন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯টি আসন।