এক দফা আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব দলের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। ফখরুল জানান, সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
ফখরুল বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করতেই বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাজা প্রমাণ করে, বিরোধীদল নির্মূলে নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে সরকার।
এসময় সব রাজনৈতিক বন্দিদের সাজার রায় বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা জামিন পেলেও আবার জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুরোপুরি বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির নাম পরিবর্তন করে নিবর্তনমূলক আইন করার নামান্তর মাত্র। স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি এই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন। শুধু নাম পরিবর্তন করা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, মানুষকে বোকা বানানোর কৌশল।
বিদেশিদের চাপে দৃষ্টি সরাতে আইনটির নাম পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন, তাই চেহারা পাল্টে ভদ্র ভাব দেখার পাঁয়তারা করছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু তাদের লক্ষ্য একটাই, যেনতেনভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা।
তিনি বলেন, বিএনপি যাতে নির্বাচন না করতে পারে তার সব ব্যবস্থা করছে সরকার। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাজা দেয়া হচ্ছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক অধিকার পালনের সুযোগ নেই।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সরকার রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ব্যবহার করছে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয় সেটা প্রমাণিত। সেই জন্য বিএনপি বলছে- পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
চলমান সংকট শুধু বিএনপির নয়, জাতীয় সংকট মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এই সরকার আবার ক্ষমতায় এলে দেশের ও দেশের মানুষের অস্তিত্ব থাকবে না, যা হবে ভয়াবহ।